কোনো বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে অসদাচরণ, দুর্নীতি বা অন্য কোনো অভিযোগ উঠলে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ ছাড়া ওই অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত বা অনুসন্ধান বা যেকোনো কার্যক্রম পরিচালনা না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার আদেশক্রমে বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে (সার্কুলার) এই নির্দেশ দেওয়া হয়। বলা হয়েছে, ‘এই নির্দেশনা লঙ্ঘন করে কোনো বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনা যেকোনো অভিযোগ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ ছাড়া কোনো প্রাথমিক তদন্ত/অনুসন্ধান বা যেকোনো কার্যক্রম পরিচালিত হলে তাৎক্ষণিকভাবে তা এই আদালতকে অবহিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ প্রদান করা হলো।’
এ বিষয়ে আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, সব জেলা ও দায়রা জজ, মহনগর দায়রা জজসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বরাবরে প্রজ্ঞাপনটি পাঠানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনের শুরুতে বলা হয়, গোচরে এসেছে, কোনো কোনো বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অসদাচরণ, দুর্নীতি বা অন্য কোনো অভিযোগ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের সাথে পরামর্শ ব্যতিরেকে আইন ও বিচার বিভাগের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে প্রাথমিক তদন্ত বা অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
প্রজ্ঞাপনের ভাষ্য, সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিচার-কর্ম বিভাগে নিযুক্ত ব্যক্তিদের এবং বিচার বিভাগীয় দায়িত্ব পালনরত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল-নির্ধারণ, পদোন্নতিদান ও ছুটি মঞ্জুরিসহ) ও শৃঙ্খলা বিধান রাষ্ট্রপতির উপর ন্যস্ত এবং সুপ্রিম কোর্টের সাথে পরামর্শক্রমে তা প্রযুক্ত হয়। সংবিধানের ১০৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বাংলাদেশে জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্যদের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ-ক্ষমতা সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের উপর ন্যস্ত। এ ছাড়া সংবিধানে জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্যদের অন্য সকল সার্ভিস থেকে পৃথক এবং স্বাতন্ত্র্য করা হয়েছে।




Discussion about this post