কোষ বিভাজন নিয়ে গবেষণার জন্য ২০০১ সালে চিকিৎসা শাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার পাওয়া হান্ট সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ায় বিজ্ঞান বিষয়ক সাংবাদিকদের বিশ্ব সম্মেলনে বলেন, “নারীদের নিয়ে আমার সমস্যার কথা বলতে দিন।
“তারা ল্যাবে থাকলে তিনটি ঘটনা ঘটে- আপনি তাদের প্রেমে পড়েন, তারা আপনার প্রেমে পড়ে এবং যখন আপনি তাদের সমালোচনা করেন তারা কান্নাকাটি করে।”
তার এই মন্তব্যে হৈ চৈ পড়ে যায়। সিটি ইউনিভার্সিটি লন্ডনের সায়েন্স জার্নালিজম প্রোগ্রামের পরিচালক কনি সেন্ট লুইস টুইটারে শেয়ার করার পর বিষয় ব্যাপকভাবে মনোযোগ কাড়ে।
“সত্যি, এই নোবেল লরিয়েট কি ভাবেন আমরা এখনও ভিক্টোরিয়ান যুগে আছি?”
সায়েন্সসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের নারী-পুরুষ হান্টের বক্তব্যের সমালোচনায় যোগ দেন।
সমালোচনার মধ্যে বুধবার বিবিসি রেডিও ফোরের টুডে প্রোগ্রামে টিম হান্ট তার বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।
“ওই সব সাংবাদিকের উপস্থিতিতে এটা বলা খুব নির্বুদ্ধিতা হয়েছে।”
এদিকে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ৯ জুন সায়েন্স জার্নালিস্টদের সম্মেলনে করা মন্তব্যের জেরে ২০০৬ সালে নাইট উপাধি পাওয়া হান্ট লাইফ সায়েন্সেস ফ্যাকাল্টির অনারারি প্রফেসর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।
“ইউ.সি.এল ইংল্যান্ডের প্রথম ইউনিভার্সিটি যেখানে নারী শিক্ষার্থীদের পুরুষের সমকক্ষ বিবেচনা করা হয় এবং এই ইউনিভার্সিটি বিশ্বাস করে যে, এটা লিঙ্গ সমতার প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতির কারণে হয়েছে।”




Discussion about this post