বিচার বিলম্বে ১৭ বছর কারাগারে থাকা পুরান ঢাকার সূত্রাপুরের সেই শিপন অবশেষে খালাস পেয়েছেন।
গত ৩ এপ্রিল এ বিষয়ে ঢাকার পরিবেশ আপিল আদালতের বিশেষ দায়রা জজ বিচারক মশিউর রহমান চৌধুরীর দেওয়া রায়ের অনুলিপি হাতে পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার (১১ মে) বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড পক্ষের আইনজীবী কুমার দেবুল দে।
রাজধানীর সূত্রাপুর থানার একটি হত্যা মামলায় গ্রেফতার হয়ে বিনা বিচারে প্রায় ১৭ বছর কারাভোগের পর গত ৮ নভেম্বর হাইকোর্ট থেকে জামিন পান সূত্রাপুরের বাসিন্দা শিপন। সেই সঙ্গে ২ মাসের মধ্যে তার মামলা বিচারিক আদালতকে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও জেবিএম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
এর আগে শিপনকে নিয়ে বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেল প্রতিবেদন প্রকাশ করে। পরে সেই প্রতিবেদনটি সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড এর পক্ষ থেকে হাইকোর্টের নজরে আনেন আইনজীবী কুমার দেবুল দে।
তখন হাইকোর্ট শিপনকে হাজির করতে বলেন এবং পরে জামিন আদেশ দেন।
১৯৯৪ সালে পুরান সূত্রাপুরের দুই মহল্লার মধ্যে মারামারিতে একজন নিহত হওয়ার ঘটনায় জাবেদ নামে একজন বাদী হয়ে সূত্রাপুর থানায় মামলা করেন, যাতে শিপনকে দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে।
মামলার এফআইআরে তার বাবার নাম অজ্ঞাত থাকলেও ১৯৯৫ সালে আদালতে দেয়া অভিযোগপত্রে তার বাবা হিসেবে ৫৯, গোয়ালঘটা লেনের রফিকের নাম দেয়া হয়।
কিন্তু এরপর মামলার কার্যক্রম আর এগোয়নি। ২০০০ সালে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে কাশিমপুর কারাগার পার্ট-২-তে ছিলেন শিপন।




Discussion about this post