বিডি ল নিউজঃ সম্প্রতি বাংলাদেশে হিন্দি সিনেমা মুক্তি দেওয়া নিয়ে অনেক সমালোচনা হচ্ছে। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের সাথে জড়িত সবাই একে কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। নিজেদের চলচ্চিত্র এবং সংস্কৃতি নষ্ট করার সম্ভাবনা দেখছেন ওনারা। বাংলাদেশের সিনেমা ও ভারতের সিনেমার এ দিক সেদিক ও নানা বৈষম্যর কথা এত দিন বলতে চেয়েও বলেন নি দেশ সেরা অভিনেতা শাকিব খান। সম্প্রতি দেশীয় সিনেমায় বিদেশী সিনেমার দূষণরোধে জোড়ালো ভূমিকা পালন করছেণ। তিনি এবার মুখ খুলেছেন আগে না বলা বিভিন্ন ক্ষোভ ও আক্ষেপের বিষয় নিয়ে।
শাকিব খান বলেন, পশ্চিমবঙ্গের অনেক শিল্পী এদেশে খ্যাতি ও অর্থ কামাই করেছেন। তখন সে দেশের চলচ্চিত্রের অবস্থা নেহাতই খারাপই ছিল। পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ঢাকাই সিনেমায় অভিনয় করে উপার্জিত অর্থে বাড়ি-গাড়ি করেছেন। এ অভিনেতা বলেন, এমন একটা সময় ছিল যখন ঢাকাতে কোটি টাকা বাজেটের সিনেমা হত আর টালিগঞ্জে তের কি চৌদ্দ লাখ টাকা বাজেটের সিনেমা হত। এ সময় ঋতু, রচনাসহ আরও অনেক নায়ক-নায়িকা পশ্চিমবঙ্গ থেকে এসে এ দেশে সিনেমা করেছেন। কোনো বাধায় না পড়েই তারা স্বচ্ছন্দ্যে অভিনয় করে ফিরে গেছেন।
শাকিব ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি আহবান রেখে বলেন, সবকিছুর আগে ভারতে বাংলাদেশি চ্যানেলগুলো প্রচার নিশ্চিত করতে হবে। ভারতের দর্শক বাংলাদেশি শিল্পীদের জানুক, চিনুক। ততদিনে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রও আধুনিক হয়ে যাবে। এখনই বাংলাদেশের সিনেমা ভারতের বাজারে প্রদর্শন করার সময় না। এ সময় ভারতীয় বাংলা সিনেমার উদাহরণ টেনে শাকিব বলেছিলেন, কলকাতার সিনেমাগুলো অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং আমেরিকাতে দেখানো হয়, সেখানে বাংলাদেশিদের সংখ্যাই বেশি।
উল্লেখ্য, আসছে ৩০শে জানুয়ারি হতে যাওয়া বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো সভাপতি পদে লড়বেন। আর তার প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন মিশা সওদাগর।
Discussion about this post