যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিকদার আককাস আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, যবিপ্রবির সনাতন ধর্মাবলম্বী এক ছাত্রীর অভিযোগ পুলিশ মামলা হিসেবে রেকর্ড করেছে।
মামলার এজাহারে বাদী ওই ছাত্রী উল্লেখ করেছেন, তিনি যবিপ্রবির পুষ্টি ও খাদ্যপ্রযুক্তি বিভাগের প্রথম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক প্রফেসর সৈয়দ মাহফুজ আল হাসানের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরবর্তীতে শিক্ষক হাসান প্রায়ই ওই ছাত্রীর ভাড়া (যশোর পালবাড়ী এলাকা) বাসায় যাতায়াত করতেন। একপর্যায়ে ২০১৩ সালের ২৭ জুন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে হাসান ওই শিক্ষার্থীর বাড়িতে গিয়ে প্রশ্নপত্র দেওয়াসহ নানা প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। পরে তাকে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে নিয়মিত শারীরিক সম্পর্ক অব্যাহত রাখেন।
বাদী আরও উল্লেখ করেন, চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি তিনি শিক্ষক হাসানকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু বিষয়টি তিনি নানা কৌশলে এড়িয়ে যান। গত ১৫ জুন ফের ওই বাড়িতে গেলে তাকে আবার বিয়ের কথা বললে শিক্ষক হাসান বিয়ে করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। এমনকি তাদের অবৈধ মেলামেশা নিয়ে কোনো কথা জানাজানি হলে তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে যবিপ্রবির উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুস সাত্তার শুক্রবার রাতে বলেন, গত মে মাসে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই ছাত্রীর অভিযোগ পায়। অভিযোগটি তদন্তের জন্য প্রফেসর ড. ইকবাল কবির জাহিদ, প্রফেসর ড. সেলিনা বেগম এবং প্রফেসর ড. মীর মোশারফ হোসেনের সমন্বয়ে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে গরমের ছুটি ও অভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যার কারণে তারা যথাসময়ে রিপোর্ট দিতে পারেননি।
শুক্রবার (১৯ জুন) অভিযুক্ত শিক্ষক হাসানের বাসায় পুলিশ গিয়েছিল বলে শুনেছেন তিনি।
এক প্রশ্নের উত্তরে ড. আব্দুস সাত্তার বলেন, কমিটির তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশে বিলম্বের কারণে হয়তো ওই ছাত্রী আস্থা না পেয়ে থানায় মামলা করেছেন।
Discussion about this post