বিশ্বব্যাংকের চাপের মুখেই দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পদ্মাসেতু দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করেছিল। কোনো দালিলিক তথ্য ছাড়া ২০১২ সালে মামলাটি হয়েছিল।
রোববার (১৩ মার্চ) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে রাষ্ট্রীয় দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটির বিদায়ী চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান তাকে দেওয়া বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এমনটাই জানালেন। বিদায়ী চেয়ারম্যান এবং কমিশনার (তদন্ত) সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর সম্মানে এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
বদিউজ্জামান বলেন, পদ্মাসেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে আমরা (দুদক) যে এজাহারটি করেছি, তাতে মামলা করার মতো কোনো উপাদান ছিলো না। আসলে এটা ঠিক হয়নি…।
তিনি বলেন, মামলাটি করেছিলাম, যদি বাংলাদেশ পদ্মাসেতুতে অর্থছাড় পায়…মূলত দেশের স্বার্থেই মামলা করেছি। পরে তো আবার মামলা পরবর্তী তদন্তে আমরাই তুলে ধরেছি এ দুর্নীতির অভিযোগটি মিথ্যা। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আসামিদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
সংবর্ধনায় দুদকে তার বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কেঁদে ওঠেন বদিউজ্জামান।
বিদায়ী কমিশনার (তদন্ত) সাহাবুদ্দিন চুপ্পু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে বলেন, এ কমিশন যেভাবে কাজ করেছে তা মনে রাখতে হবে। আপনাদের রেশনিং সুবিধাসহ বিভিন্ন সুবিধা নিশ্চিত করেছি। পদোন্নতি দিয়েছি অনেককে। অনেক যোগ্য হয়তো বঞ্চিত হয়েছেন, কিন্তু সবাইকে হয়তো খুশি রাখা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, আমরা দুর্নীতিবাজদের মনে একটু হলেও ভীতির সঞ্চার করতে পেরেছি। অনেক দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছি।
দুদকের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে বিদায় নেওয়ার সময় আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন বিদায়ী এ কমিশনার।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) নাসিরউদ্দীন আহমেদ। বক্তব্য রাখেন দুদকের মহাপরিচালক জিয়া উদ্দিন, পরিচালক নাসিম আনোয়ার প্রমুখ।
Discussion about this post