নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে হত্যার ঘটনায় দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ছাত্রলীগ।
আজ সোমবার ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) লেখক ভট্টাচার্যের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কমিটিকে সুপারিশসহ তদন্তের প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক; বুয়েটের সাম্প্রতিক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানানো হচ্ছে। ছাত্রলীগ কখনো এরূপ ঘটনা কিংবা অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হল।
নিহত ফাহাদের সহপাঠীরা বলছেন, রবিবার (৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরে বাংলা হলের ২য় তলা থেকে আবরার ফাহাদ (২১) নামে এক ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার করে কর্তৃপক্ষ। নিহত আবরার ফাহাদ ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) ছাত্র ছিলেন। তার বাড়ি কুষ্টিয়া শহরে।
রাত আটটার দিকে শের-ই বাংলা হলের ১ হাজার ১১ নম্বর কক্ষ থেকে কয়েকজন ফাহাদকে ডেকে নিয়ে গেলে রাত দুইটা পর্যন্ত তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাদের ধারণা, ২ হাজার ১১ নম্বর রুমে নিয়ে ফাহাদকে পেটানো হয়। পরে শেরেবাংলা হলের একতলা ও দুই তলার মাঝখানের সিঁড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার শরীরে বিভিন্ন আঘাতের চিহ্ন লক্ষ্য করা গেছে। শিক্ষার্থীদের ধারণা ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
এই ঘটনায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল এবং সহ-সভাপতি ফুয়াদ, বুয়েট ছাত্রলীগের তথ্য গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার ও ক্রীড়া সম্পাদক জিয়নকে আটক করেছ পুলিশ।




Discussion about this post