নিজস্ব প্রতিবেদক: আমরা আশা করেছিলাম সেনা মোতায়েনের পর নির্বাচনী পরিবেশের উন্নতি হবে। এখন উল্টো বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ওপর বাড়ছে হামলা ও গ্রেফতার। তবে এখনও আমরা নির্বাচনে থাকতে চাই; আশা করি ইসি তার ভূমিকা বদলাবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার সকালে নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে বগুড়ার উদ্দেশে যাত্রা শুরুর আগে এ কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এসময় বিএনপি মহাসচিব আভাস দেন, বৃহস্পতিবার ঐক্যফ্রন্টের জরুরি সভায় আসতে পারে গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্ত।
আজ দুপুর ২টা নাগাদ বগুড়া সদরের বাঘোপাড়ার পথসভায় যোগ দেবেন বিএনপি মহাসচিব। শিবগঞ্জ, গোবিন্দগঞ্জ ও রামনাথপুর থানায় বেশ কয়েকটি পথসভার পর সন্ধ্যায় রংপুরের দুই জায়গায় গণসংযোগ করবেন মির্জা ফখরুল। রাতে নিজ বাড়ি ঠাকুরগাঁও থাকার পর আগামীকাল ঢাকায় ফিরবেন।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে এক জরুরি বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) একেএম নুরুল হুদার অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সে সময় তিনি বলেন, বর্তমান সিইসির কাছ থেকে নিরপেক্ষ নির্বাচন তো দূরের কথা, নিরপেক্ষ আচরণও আশা করা যায় না। এমতাবস্থায় আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে এমন একজন মেরুদণ্ডহীন পক্ষপাতদুষ্ট ব্যক্তির নেতৃত্বে থেকে নির্বাচন কমিশনকে মুক্ত করা অনিবার্য বলে মনে করি। আমরা অবিলম্বে তার পদত্যাগ দাবি করছি এবং যথার্থই একজন নির্দলীয় নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে অবিলম্বে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেয়ার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে দাবি জানাচ্ছি।
এদিকে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে থাকা ও না থাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার জরুরি বৈঠক ডেকেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। বিকাল ৩টায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে বৈঠকের স্থান এখনো নির্ধারিত হয়নি।
ঐক্যফ্রন্টের হেড অফ মিডিয়া ড. মেহেদী মাসুদ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বৈঠকে বিএনপি, ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থাকবেন।
সূত্রে জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে থাকা ও না থাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে এবং নির্বাচনে থাকলে কৌশল কী কী হবে- এসব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বৈঠকে।




Discussion about this post