বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যু

ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে  পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’।

০৯ ডিসেম্বর, ২০১৭, শনিবার। ২৫ অগ্রহায়ণ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ। একনজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
১৮৮৩ – মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিয়ে হয়।
১৯১৭ – ফিনল্যান্ড স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯৬১ – টাঙ্গানিকা স্বাধীনতা অর্জন করে।
১৯৯১ – ইউরোপিয়ান কমিউনিটি ১৯৯৯ সালের মধ্যে অভিন্ন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অভিন্ন মুদ্রা চালুর সিদ্ধান্ত নেয়।

জন্ম
১৬০৮ – জন মিলটন, বিশ্বখ্যাত ব্রিটিশ কবি। তার প্রসিদ্ধ কাব্য ‘প্যারাডাইস লস্ট’-এর কারণে তিনি সমধিক পরিচিত।
১৮৮০ – বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন, খ্যাতিমান বাঙালি সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক। রংপুরের পায়রাবন্দে জন্ম নেওয়া রোকেয়ার প্রকৃত নাম ছিল রোকেয়া খাতুন। বৈবাহিকসূত্রে নাম হয় রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন। কিন্তু তাকে বেগম রোকেয়া নামেই ডাকা হয়।  তৎকালীন সমাজব্যবস্থায় রোকেয়া ও তার বোনদের বাইরে পড়াশোনা করতে পাঠানো হয়নি, তাদের ঘরে আরবি ও উর্দু শেখানো হয়। তবে রোকেয়ার বড় ভাই ইব্রাহীম সাবের আধুনিকমনা ছিলেন। তিনি রোকেয়া ও করিমুন্নেসাকে ঘরেই গোপনে বাংলা ও ইংরেজি শেখান। ১৮ বছর বয়সে রোকেয়ার বিয়ে হয় ভাগলপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে। বিয়ের পর রোকেয়ার আধুনিক পড়ালেখা আরও পুরোদমে শুরু হয় এবং তিনি সাহিত্যাঙ্গনেও পদার্পণের সুযোগ পান। বেশ কয়েকটি স্কুল পরিচালনা ও সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত রোকেয়া নিজেকে সাংগঠনিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত রাখেন। ১৯১৬ সালে তিনি মুসলিম বাঙালি নারীদের সংগঠন ‘আঞ্জুমানে খাওয়াতিনেইসলাম’ প্রতিষ্ঠা করেন। তার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য রচনা ‘Sultana’s Dream’, যার অনূদিত রূপ ‘সুলতানার স্বপ্ন’। এটিকে বিশ্বের নারীবাদী সাহিত্যে একটি মাইলফলক ধরা হয়। তার অন্যান্য গ্রন্থ হলো- পদ্মরাগ, অবরোধবাসিনী, মতিচুর। প্রবন্ধ, গল্প, উপন্যাসের মধ্য দিয়ে তিনি নারীশিক্ষার প্রয়োজনীয়তা আর লিঙ্গসমতার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। হাস্যরস আর ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের সাহায্যে পিতৃতান্ত্রিক সমাজে নারীর অসম অবস্থান ফুটিয়ে তোলেন। এসব অবদানের জন্য ঊনবিংশ শতাব্দীর খ্যাতিমান এ বাঙালি সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারককে বাঙালি নারী জাগরণের অগ্রদূত হিসেবে গণ্য করা হয়। তিনি ১৯৩২ সালের একই তারিখে মৃত্যুবরণ করেন।
১৯২০ – কার্লো আজেলিও চিয়াম্পি, ইতালিয়ান রাজনীতিবিদ ও প্রধানমন্ত্রী।
১৯৩৮ – মীর শওকত আলী (বীর উত্তম), একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার।
১৯৭৮ – গাস্তন গাউদিও, আর্জেন্টিনার পেশাদার টেনিস খেলোয়াড়।
১৯৮১ – দিয়া মির্জা, বলিউড অভিনেত্রী।

মৃত্যু
১৯১৬ – সোসেকি নাৎসুম, জাপানি ঔপন্যাসিক।
১৯৩২ – বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন, খ্যাতিমান বাঙালি সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক।

সুত্র বাংলানিউজ