বিডিলনিউজঃ প্রকৃতির শহর রাঙ্গামাটিতে স্বামীসহ বেড়াতে এসে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নববধূ ।
নরপপিশাচদের কাছে জীবনের সর্বস্ব হারিয়ে মৃত্যুর সঙ্গে হাসপাতালের বেডে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ওই নববধূ।
এদিকে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ রফিক নামে একজনকে আটক করেছে।
নববধূর স্বামী সাইফুদ্দিন রিটন রাঙ্গামাটি কোতয়ালী থানায় জানান, কিছুদিন আগে তাদের বিয়ে হয়েছে। নতুন জীবনকে স্মৃতিময় করতে ১৭ দিন আগে পর্যটন শহর রাঙ্গামাটিতে বেড়াতে আসেন এ নব দম্পতি।
বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে হোটেল ম্যানেজার আশিষ ওরফে আশু আমাদের রুমের দরজায় এসে নক করে ডাকতে থাকে। ম্যানেজারের গলার আওয়াজ শুনে দরজা খুলার ম্যানাজার আশুসহ সঙ্গে থাকা আরো ৬ জন জোর করে রুমে ঢুকে পড়ে। কিছু বুঝে উঠার আগে রিটনকে লোহার রড দিয়ে পিটাতে শুরু করেন নরপিশাচরা।
এক পর্যায়ে স্বামীকে স্বামীকে জখম করে হোটেলের ছাদে নিয়ে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রাখে । এরপর তার স্ত্রীকে ছুরি দিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে হোটেলের ২য় তলায় অপর এক রুমে নিয়ে ৭ নর-পশু মিলে পালাক্রমে সারারাত গণধর্ষণ করে আহত অবস্থায় ফেলে রাখে।
হোটেল মালিক ও ম্যানেজারের সঙ্গে হোটেল কাউন্টারে ওই নরপিশাচরা বসে থাকেন বলে জানান নববধূর আহত স্বামী।
স্ত্রীর সম্ভ্রম রক্ষা করতে সঙ্গে থাকা ১০,৪৮০ টাকা ও মোবাইলটিও তাদের হাতে দিয়ে পায়ে ধরে কান্না-কাটি করেও সম্ভ্রম রক্ষা করতে পারেননি । ঘটনার সঙ্গে হোটেল ম্যানেজার আশিষ ওরফে আশু ও হোটেল বয় আনোয়ার, পাশের খাবার হোটেল মালিক রফিক, হোটেল বয় আলমগীর, স্থানীয় নুরু লেবারের বড় ছেলে সিএনজি চালক নাছির, শহরের পুরাতন বস্তি এলাকার নৌকা বোট মালিক আবুল হোসেনের ভাগিনা জড়িত বলে অভিযোগ করেন ওই নববধূর স্বামী।কয়েকদিন হোটেলে অবস্থানের কারণে তাদের সবার সঙ্গে ওই দম্পতির পরিচয় হয়।
ঘটনার বিষয়ে কোতয়ালী থানার এসআই নেপাল ও এসআই আশরাফ জানান, ঘটনার খবর শুনে আমরা ১২টার দিকে হোটেল পাহাড়িকা যায়। সেখান থেকে ভিকটিমদের উদ্ধার করা হয়। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পার্শ্ববর্তী খাবার হোটেল মক্কার মালিক রফিককে আটক করা হয়েছে।
দম্পতির সাথে আলাপ করে জানা গেছে তারা সত্যই স্বামী-স্ত্রী। নব দম্পতিদের রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালের ভিকটিম সার্পোট সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অপর দিকে এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে রাঙ্গামাটি এএসপি সার্কেল মনিরুজ্জামান জানান,সংঘঠিত ঘটনা সভ্যতার চরম লঙ্ঘন, এ অমানবিক ঘটানার সাথে সম্পৃক্ত অভিযুক্তদের ইতিমধ্যে পুলিশ সনাক্ত করতে পেরেছে।
অভিযুক্তদের গ্রেফতারে বেশ ক’জন অফিসার কাজ করছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অভিযুক্তদের উপযুক্ত শাস্তি প্রদানে পুলিশের পক্ষ থেকে যা যা করার তার সবই করা হবে বলে জানান তিনি।
Discussion about this post