
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বর্তমান বেতন কাঠামো পরিবর্তন বিষয়ে শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনে যাবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। প্রয়োজনে দেশের ৩৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
রোববার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রস্তাবিত বৈষম্যমূলক জাতীয় বেতন কাঠামো প্রত্যাখ্যান এবং পুনঃনির্ধারণ দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. এম এম মাকছুদ কামালের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ড. আখতার হোসেন খান, কলা অনুষদের ডিন ড. আক্তারুজ্জামান, ইতিহাস বিভাগের ড. মুনতাসির মামুন, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ড. আনোয়ার হোসেন, সিন্ডিকেট সদস্য লুৎফর রহমান, অর্থনীতি বিভাগের ড. এম এম আকাশ, ড. কাজী শহিদুল্লাহ, ইসলামের ইতিহাস ও সাংস্কৃতি বিভাগের ড. গোলাম রব্বানি এবং ড. নাজমা শাহিন প্রমুখ।
ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকারের আমলারা পদে পদে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে অপমাণিত করছে। আমরা অনেক সুযোগ দিয়েছি। অনেক ভদ্রতা দেখিয়েছি। যে কারণে ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য মানববন্ধন করতে হচ্ছে। শিক্ষকদের এ ন্যায্য দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাব না।
ড. আখতার হোসেন খান বলেন, মিন্টু রোড ও সচিবালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গার ওপর করা হয়েছে। আর এ সচিবালয়ে বসেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর বৈষম্য করা হচ্ছে। যদি জাতীয় বেতন কাঠামোয় শিক্ষকদের বঞ্চিত করা হয় তাহলে প্রতি মাসে বিশ্ববিদ্যালয়কে সচিবালয়ের ভাড়া দিতে হবে।
টেলিভিশন অ্যান্ড ফিল্ম স্ট্যাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. শফিউল আলম ভূঁইয়া বলেন, বর্তমানে বেতন কাঠামো আমাদের অপমানিত করেছে। এর মাধ্যমে ফরাসউদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ আন্দোলন চলবে।”লেটেস্টবিডিনিউজ
Discussion about this post