একে.এম নাজিম, হাটহাজারী চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ
হাটহাজারী উপজেলার পৌরসভার কড়িয়ার দিঘীর পার ৬নং ওয়ার্ডে ১৯৩১ সালে ফটিকা রহমানিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্টিত হয়। বিদ্যালয়টি সাম্প্রতি ভূমি কম্পের সময় বিদ্যালয়ের ভেতরে ও বাইরের বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এই বিদ্যালয়ের দেওয়াল গুলো ইতিমধ্যে হাত বাজালেই নড়া চড়া করে। বিদ্যালয়টিতে আনুমানিক দুই শতকের উপর কোমলমতি শিক্ষার্থী রয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে পুরুষ শিক্ষক বিহীন ৪ জন মহিলা শিক্ষিকা শিক্ষা দিচ্ছে। ব্রিটিশ সরকারের আমলের জরাজীর্ণ এই বিদ্যালয়টি মারাক্তত ঝুকি পর্ণূ হয়ে থাকলেও স্থানীয় প্রশাসনের কোন মাথা ব্যাথা নেই। বিদ্যালয়ের চার পাশে ভূমি কম্পের পর দেওয়াল ও পিলারসহ বড় ধরণের ফাটল দেখা দিয়েছে। এই ফাটল যে কোন সময় শিক্ষার্থীদের প্রাণ কেঁড়ে নেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করেন এলাকাবাসী ও অভিভাবক মহল। বিদ্যালয়ের নিচের ফলর দেবে গেছে। উপরের ভবনের বিভিন্ন অংশ ফাটল দিয়েছে। এই সব মিলে মারাক্তাত ঝুকির মধ্যে বিদ্যালয়ের ক্লাস চলছে। সাম্প্রতি বিদ্যালয়টি হাটহাজারী উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা দেখে বলেন, বিদ্যালয়টি ভূমি কম্পের ঝুকিতে রয়েছে। এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষিকা ফরিদা বেগমকে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছে বলে জানা যায়। আগামী যে কোন সময় ভূমিকম্প হলে বিদ্যালয়টি ধসে পড়ার আশঙ্কা করছে শিক্ষক অভিবাবক ও এলাকাবাসী। ছ্ােট ছোট কোমল মতি শিশুদের প্রাণ বাঁচানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর ও শিক্ষামন্ত্রীর নজরদেওয়া একান্ত জরুরি বলে মন্তব্য করছেন এলাকাবাসী। বিদ্যালয়টির বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দেওয়ায় অভিবাবক মহল তাদের ছেলে মেয়েদের উক্ত প্রতিষ্টান হতে অন্য প্রতিষ্টানে নিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। অভিবাবক মহল তাদের ছেলে মেয়েদের বিদ্যালয়ে আসা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। ১৯৩১ সালে ব্রিটিশ শাসন আমলে নির্মীত এই বিদ্যালয়টি। বর্তমানে ৮৬ বছর পার হলেও এই বিদ্যালয়ের দিকে কারো নজর নেই বললে চলে। এ ব্যাপারে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য দাবী জানান স্থানীয়রা।




Discussion about this post