মেহেদী হাসান সোহাগ(মাদারীপুর): মাদারীপুরের কালকিনি পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের ১২৭নং বিভাগদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় স্কুলটির কোমলমতি শিশুরা খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করছে। স্কুল ম্যানিজিং কমিটি ও প্রধান শিক্ষকদের দাবী বার বার একটি নতুন ভবনের জন্য আবেদন করেও কোন সুফল পাওয়া যায়নি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ১৯৯৪ সালে সরকারীভাবে ৪ কক্ষ বিশিষ্ট একটি একতলা ভবন নির্মাণ করা হয়। এরপর আর কোন ভবন নির্মিত হয়নি। ফলে পুরানো এ ভবনের অবস্থা খুবই ঝুকিপুর্ণ হওয়ায় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. গোলাম মস্তফা শিক্ষকদের বাহিরে ক্লাস করার মৌখিক নির্দেশ দেন। গত ১ বছর ধরে ১৬৪ জন ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে খোলা আকাশের নিচে শিক্ষকরা ক্লাস করাচ্ছেন।
ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষকদের দাবী আমরা প্রশাসনের কাছে কয়েক বার লিখিতভাবে জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। স্কুলটি ঝুকিপুর্ণ হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা সব সময় সন্তানদের নিয়ে আতংকিত রয়েছেন। তাদের দাবী প্রশাসনের ঊর্ধতন কর্মকর্তা যাতে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত একটি ভবনের ব্যবস্থা করে দেয় নয়তো তাদের ছেলে মেয়েদের আর স্কুলে পড়ানো হবেনা।
স্কুলের শিক্ষার্থী ৩য় শ্রেণীর খাদিজা, রাবেয়া, ৪র্থ শ্রেণীর জহিরুল, নাবিলা ও ৫ম শ্রেণীর সাদিয়া বলেন, এখন বর্ষাকাল প্রায় এসেই পড়েছে। আমরা কেমন করে বাহিরে বসে ক্লাস করব। বৃষ্টি নামলেই ঐ ভাঙ্গা স্কুলটির মধ্যে যেতে হয়। আমাদের ভয় করে। আমরা কি একটি স্কুল ঘরের মধ্যে বসে ক্লাস করতে পারবোনা।
স্কুলটির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. ফারুক হাওলাদার, সদস্য মো. সিরাজ মোল্লা জানায়, আমরা বার বার লিখিত দিয়েও কোন ফল পাইনি। ছোট ছোট শিশুদের দিকে তাকাইয়াও কি একটি ভবনের ব্যবস্থা করা যাবেনা।
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. জালাল উদ্দিন বেপারী ও সহকারী শিক্ষক আ. কুদ্দুস বেপারী বলেন, জীবন বাঁচাতে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করাচ্ছি। গত ২ বছর ধরে শিক্ষা অফিসে লিখিতভাবে জানাচ্ছি কোন সুফল পাচ্ছিনা।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. গোলাম মস্তফা বলেন, আমি স্কুলটি পরিদর্শন করেছি। ভবনটি ঝুকিপুর্ণ হওয়ায় শিক্ষকদের বলেছি বাহিরে ক্লাস নেয়ার জন্য। আমি আমার ঊর্ধতন কর্মকর্তাদের লিখিতভাবে জানিয়েছি। বর্ষা এসে গেছে এখন কি হবে জানিনা।
Discussion about this post