বিডি ল নিউজঃ ভারতের কাছে হেরে বিশ্বকাপে আশা শেষ বাংলাদেশের। প্রথমবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছনোর যে আশা দেশের সমর্থকরা করছিলেন তা চুরমার হয়ে গিয়েছে। পদ্মাপারে হতাশার কালো মেঘ। এই অবস্থায় ম্যাচ হেরে ভারতের প্রশংসার পাশাপাশি আম্পায়ারিং নিয়েও কার্যত অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরফি মোর্তাজা।
মোর্তাজা বলেছেন, ভারত খুবই শক্তিশালী দল। যে কোন দলেরই কাছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে হারানোটা একটা চ্যালেঞ্জের বিষয়।বিশ্বকাপের পরবর্তী পর্যায়ের জন্য তিনি টিম ধোনিকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন।
মোর্তাজা বলেছেন, ভারত এই মূহুর্তে দুরন্ত ক্রিকেট খেলছে। যে কোনও টিমের কাছেই ভারতকে হারানোটা চ্যালেঞ্জের বিষয়। আগামীকাল কোর্য়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া বনাম পাকিস্তানের খেলা। আমি জানি না কে জিতবে। তবে যেই জিতুক সেমিফাইনালে তাদের সঙ্গে ভারতের খেলা অত্যন্ত হাড্ডাহাড্ডি হবে। ভারতের জন্য আমার শুভেচ্ছা রইল।
ম্যাচের শেষে সাংবাদিক বৈঠকে বাংলা-অধিনায়ক বলেছেন, ভারত বা অন্য কোন বড় টিমের সঙ্গে খেলাটা একটা মস্ত চ্যালেঞ্জ। কিন্তু আজকের ম্যাচে একটা সময় আমরা ভালো জায়গায় ছিলামষ কিন্তু রায়না ম্যাচটা আমাদের হাত থেকে বের করে নিয়ে গেল। রোহিতও আজ দুরন্ত খেলেছে।
বাংলাদেশ এই প্রথম বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল। তাদের ঘিরে স্বপ্ন দানা বেঁধেছিল সমর্থকদের মধ্যে। কিন্তু ম্যাচ হেরে দলের পারফরম্যান্সে একেবারে হতাশ নন মোর্তাজা। তিনি বলেছেন, গত পাঁচ সপ্তাহে দল দারুন খেলেছে। আজকের ম্যাচ বাদ দিলে আমাদের ব্যাটসম্যানরা পুরো টুর্নামেন্টেই ছন্দে ছিল। বিশ্বকাপের এই সাফল্য আমাদের কাছে উত্সাহজনক। এই ফর্ম ব্যাটসম্যানরা ধরে রাখবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।
দলের বোলারদেরও প্রশংসা করেছেন মোর্তাজা। বলেছেন, আমাদের দলে এখন দুই তরুণ ফাস্ট বোলার রয়েছে। তাসকিন আর রুবেল। ওরা ধারাবাহিকভাবেই ১৪০-১৪৫ কিমি গতিতে বল করছে।বাংলাদেশের ক্রিকেটের পক্ষে যা খুবই ভালো লক্ষ্মণ।
ওপেনার তামিম ইকবাল ভালো শুরু করেও খারাপ শট খেলে আউট হন। অধিনায়ক কিন্তু তামিমের পাশেই দাঁড়াচ্ছেন। তিনি বলেছেন, ৩০০ রান তাড়া করতে হলে কাউকে না কাউকে তো আক্রমণাত্মক হতে হয়।আর তা করতে গিয়েই ও আউট হয়।
আজকের ম্যাচে আম্পায়ারিং নিয়ে অসন্তোষ গোপন করেননি মোর্তাজা। যদিও এ বিষয়ে খুব বেশি কিছু বলেননি তিনি। শতরান করার আগে ৪০তম ওভারে ব্যক্তিগত ৯০ রানে রুবেলের বলে ক্যাচ তোলেন রোহিত। কিন্তু আম্পায়ার নো বল ঘোষণা করায় জীবন ফিরে পান রোহিত। আম্পায়ার ইয়ান গৌল্ড রুবেলের ফুলটসকে কোমরের উচ্চতার হিসেবে নো বল ডাকেন। যদিও টিভি রিপ্লেতে যা দেখা গিয়েছে তাতে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্কের অবকাশ রয়েছে। এ ব্যাপারে মোর্তাজা বলেন, আমি কিছুই বলতে চাই না। তবে যা হয়েছে তা তো সবাই দেখেছে।
রুবেলের ওই বল নো ঘোষণা হওয়ায় দলের মোমেন্টামে কোনও প্রভাব ফেলেছিল কিনা, এই প্রশ্নের উত্তরে মোর্তাজা বলেছেন, গুরুত্বপূর্ণ মূহুর্তে উইকেটটা খুবই জরুরী। ওই সময় আমরা ব্যাটসম্যানদের ওপর ভালো চাপ তৈরি করেছিলাম। কিন্তু তারপর যা ঘটেছে তা তো সবারই জানা।’এবিপি আনন্দ
Discussion about this post