রোকনুজ্জামান-কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছের ঘের দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে ভূমিদস্যু সন্ত্রাসীরা। প্রশাসনিক আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ভূমিদস্যরা ইতোমধ্যে মাছের ঘের’র দখল নেওয়ার জন্য ঘেরের মাঝখান দিয়ে বাঁধ দেওয়ার চেষ্টা এবং খুঁটি পুতে রেখেছে। এ বিষয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় উভয় গ্রুপের মধ্যে ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ দেখা দিতে পারে বলে স্থানীয়রা আশংকা করছে। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া আদালতে এবং দৌলতপুর থানায় মামলা রয়েছে।
জানা গেছে, ভেড়ামারা এবং দৌলতপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকা চর জুনিয়াদহ এলাকায় রয়েছে ভেড়ামারার সাতবাড়ীয়া গ্রামের মৃত নছের উদ্দীন শেখ’র পুত্র মোসলেম শেখ’র প্রায় ১২ বিঘা জমি। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে ওই জমিতে বর্ষকালে মাছের চাষ এবং শুষ্ম সময়ে ধানের আবাদ করে থাকেন। তার পুত্র মহর আলীও পিতার পথ ধরেই ১২ বছর যাবৎ ওই জমিতে মাছের ঘের বানিয়ে মৎস্য চাষ করে আসছেন। অভিযোগ রয়েছে, তৎকালীন সময়ে মসলেম আলীর ভাই ফতে শেখ এস, এ এবং আর, এস রেকর্ড’র সময় অত্যান্ত সংগোপনে জমির মূল মালিক মসলেমকে ফাঁকি দিয়ে নিজের নামে প্রায় ৬ বিঘা জমির রেকর্ড করে নেন। বিষয়টি গোপনেই ছিল। কিন্তু গত বছর জুলাই মাসে খাজনা দেওয়ার জন্য ভূমি অফিসে গেলে ফতে শেখ এর জালিয়াতি ধরা পড়ে। এর পড়ই রের্কড সংশোধনীর জন্য দৌলতপুর সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন মসলেম উদ্দীন শেখ। যার নং ২৫০। এর পর থেকেই জমি দখল নিতে তৎপর হয়ে উঠেন ফতে শেখ গং। গত ৬ মার্চ মাছের ঘের জবর দখল করার চেষ্টা চালাচ্ছে ফতে আলী শেখ, এস্তোরুল গংরা এমন অভিযোগ এনে দৌলতপুর থানায় সাধারন ডায়েরী করে জমির উত্তোরাধীকার সূত্রে মালিক মসেলম শেখ’র পুত্র মহর আলী। যার নং ২৭০। তারিখ ঃ ০৬/০৩/২০১৫। এরপরই গত রবিবার সকালে ৮০/৯০ জনের সন্ত্রসীদের বহর নিয়ে জোর পূর্বক মাছের ঘের দখল নিতে যায় ফতে শেখ গং। এ সংবাদ পেয়ে ভেড়ামারা থানা এবং দৌলতপুর থানা পুলিশ সহিংস ঘটনা এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনে এবং দ্রুত সমাধানের জন্য একটি বৈঠকের সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। কিন্তু পুলিশের প্রশাসনিক আইন কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ভূমিদস্যু সন্ত্রাসীরা পুলিশের অনুপস্থিতির সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে জোর পূর্বক মাছের ঘের’র অর্ধেক জমি দখল নেওয়ার লক্ষে মাটির বাঁধ দেওয়ার কাজ শুরু করে। অনেক স্থানে বাঁশের খুটি পুতে উত্তেজনা ছড়িয়ে দেয়। এ বিষয়ে দৌলতপুর থানায় আরো একটি মামলা হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় দুটি গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছে স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা বলছে, দীর্ঘদিন ধরেই জমির মালিকানা এবং দখল রয়েছে মসলেম উদ্দীন শেখের। মাছের ঘের বানিয়ে তারা এলাকাটি সমৃদ্ধশালী করেছে। কিন্তু কতিপয় দৃষ্কৃতিকারীরা এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট করার লক্ষ্যে মাছের ঘের দখল নেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।
Discussion about this post