নিজস্ব প্রতিবেদক: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ‘সেনাবাহিনী মোতায়েনের ফলে ভোটারদের মনে আস্থা ফিরে আসবে। সেনাবাহিনী মোতায়েনের উদ্দেশ্যই হলো ভোটারদের মনে আস্থা তৈরি করা’ বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা।
সোমবার সকালে রাজধানীর রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে চলমান ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) মক ভোটিং (ভোটের মহড়া) কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সেনাবাহিনী সব ধরনের দায়িত্ব পালন করবে জানিয়ে কে এম নুরুল হুদা বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সেনাবাহিনী যে কোনো দায়িত্ব পালন করবে। সেনাবাহিনীর সামনে যদি এমন কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, যা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন, তখন তারা নিজ উদ্যোগে সেখানে গিয়ে সে পরিস্থিতি সংযত করবে। এগুলোর আইন আছে। “এইড টু সিভিল পাওয়া”’-এর আলোকে তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
সব রাজনৈতিক দলকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন যেন নির্বাচনের মতো হয়। সহিংসতা, নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি, তর্ক-বিতর্ক, হাঙ্গামা পরিহার করে কেবলমাত্র নির্বাচনী প্রচারণার মাধ্যমে নির্বাচনে নিবদ্ধ থাকার জন্য অনুরোধ করছি। এক্ষেত্রে সেনাবাহিনী এলে আরও সহায়তা হবে। আমি বিশ্বাস করি, অপ্রীতিকর সবকিছু এখন থেকেই নিয়ন্ত্রণ হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারাই। তাদেরকে সহযোগিতা করতে সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চৌকষ কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করবেন।’
ইভিএমের প্রশিক্ষণ সম্পর্কে সিইসি বলেন, ‘প্রত্যেকেই সুন্দরভাবে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। ৬টি আসনের প্রতিটি কেন্দ্রেই ইভিএমে ভোট নেয়া হবে।’ প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘প্রশিক্ষণ নেয়ার পর প্রত্যেকেই এখন জানেন, কীভাবে ইভিএমে ভোট নিতে হয়।’
নুরুল হুদা বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সন্দেহ ছিল। সেই সন্দেহ গুরুত্ব দিতে গিয়েই ইসি সীমিত সংখ্যায় মাত্র ৬টি আসনে ইভিএমে ভোট নিচ্ছে। এখনও যারা ইভিএম নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেন তাদেরকে বলি, আপনারা ৬টি আসনে চলমান প্রশিক্ষণে আসুন। সব কিছু ভালোভাবে জানুন, বুঝুন।’
২৭ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির জনসভার অনুমতি প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি এখনও ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে কথা বলিনি। এখান থেকে ফিরে আমি কথা বলব।’ তিনি বলেন, ‘এগুলো তো আইনশৃঙ্খলার বিষয়। ডিএমপি এসব ভালোভাবে বোঝে। আমরা এগুলো তেমনভাবে জানি না। জনসভা ঘিরে কোনো থ্রেট আছে কিনা, কোনো আশঙ্কা আছে কিনা আমি তা আলাপ করে দেখব।’
Discussion about this post