বিডি ল নিউজঃ বৃহস্পতিবার রাত ৭টার দিকে রাজধানীর মতিঝিলে ‘মতিঝিল ইন্টারন্যাশনাল হোটেল’ নামে একটি আবাসিক হোটেলে ঢুকে আবদুল হামিদ (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এই ঘটনায় পুলিশ তোফায়েল নামে একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। নিহত আবদুল হামিদ শিপিং করপোরেশনের একটি জাহাজে চাকরি করতেন।
পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার আনোয়ার হোসেন জানান, গত ২৬ ডিসেম্বর আব্দুল হামিদ মতিঝিল হোটেলের ২০১ নম্বর কক্ষে ওঠেন। তার বাড়ি সন্দ্বীপে। হোটেলের ২০১ নম্বর কক্ষের পাশেই ২০৩ নম্বর কক্ষ। ঐ কক্ষে ছয় মাস ধরে অবস্থান করছেন তার বন্ধু তোফায়েল আহমেদ। তোফায়েলের বাড়িও সন্দ্বীপে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হামিদ তোফায়েলের কক্ষে গিয়ে কথা বলছিলেন। এসময় কক্ষের দরজা খোলা পেয়ে অজ্ঞাত দুই যুবক প্রবেশ করে। তোফায়েল তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা কোন উত্তর না দিয়ে হামিদের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে দুই রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়। মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে হামিদ। পরে তোফায়েল হামিদকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় মেডিক্যাল ক্যাম্প পুলিশ তোফায়েলকে আটক করে মতিঝিল থানায় সোপর্দ করে।পরে ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের ব্যাগ থেকে দুই ব্যক্তির পাসপোর্ট পাওয়া গেছে।
হত্যার কারণ সম্পর্কে তিনি জানান, আলামত যাচাই করে ধারণা করা হচ্ছে, বিদেশে লোক পাঠানো সংক্রান্ত কোনো বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে এ খুনের ঘটনা ঘটতে পারে। তবে পুলিশের কাছে তোফায়েল দাবি করেছেন, অজ্ঞাত ওই দুই যুবককে তিনি চেনেন না।
Discussion about this post