মেহেদী হাসান সোহাগ, মাদারীপুর প্রতিনিধি, বিডি ল নিউজঃ শনিবার সকালে মাদারীপুরে সদর উপজেলার লক্ষীগঞ্জ এলাকায় প্রতিপক্ষের হামলা করে বসত বাড়িতে অগ্নিসংযোগ,বাড়ি-ঘর ভাঙচুর ও প্রতিপক্ষের লোকজনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে বলে জানা গেছে। এসময় দুর্বৃত্তরা কমপক্ষে ২০টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এসময় পুলিশ মহিলাসহ ৭জনকে আটক করেছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার লক্ষীগঞ্জ এলাকায় অধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এই ঘটনার জের ধরে মান্নান লস্কর ও এনামুল চৌধুরির লোকজন শনিবার সকাল ৫টার দিকে প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে হামলা করে।
এ সময় দুর্বৃত্তরা সালাম মোল্লার বসত ঘর, মোক্তার মোল্লা, সেলিম তালুকদার, সুলতান মোল্লা,রেজাই কাজী, মতি কাজী, মোশারফ কাজী সেরকান খান, মোসলেম কাজীর বসত ঘরসহ ২০টি বসত ঘরে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও কুপিয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে। এঘটনায় প্রতিপক্ষরা কুপিয়ে মোর্শেদ সরদার, এনায়েক সরদার, আরিফ হাওলাদার, সোহরাব বেপারী, জাকির, সাহেব আলি, মোসলেম কাজীর স্ত্রীসহ ১৫জনকে আহত করেছে।
আহতদের মধ্যে মোর্শেদ ও এনায়েতের গুরুতর অবস্থা ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। স্বর্নালঙ্কার, নগদ টাকা, গরুসহ মুল্যবান জিনিস পত্র নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ হামলার সময় পুলিশ নীরব ভুমিকা পালন করেছে। এছাড়াও হামলার সাথে জড়িত নয় এমন মানুষকেও হয়রানি করছে।
আহতদের মাদারীপুর সদর হাসপাতাল ও ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় মোক্তার মোল্লা জানান, শনিবার সকালে সন্ত্রাসীরা ২০টি বসতঘরে পেট্রল ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। বিভিন্ন বসতঘর ভাঙচুর ও কুপিয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। মাদারীপুর পুলিশ সুপার খোন্দার ফরিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রনে। শনিবার বিবাদমান দুই গ্রুপ নিয়ে শালিস মিমাংশার আয়োজন করেছিল জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি। শালিসের আগেই মান্নান লস্করের লোকজন হামলা করেছে পরিস্থিতি উত্তাপ্ত করে দিয়েছে বলেও জানান তিনি।




Discussion about this post