মাদারীপুর দুটি ব্রিজের অভাবে ১০হাজার মানুষের দূর্ভোগ

মেহেদী হাসান সোহাগ(মাদারীপুর): মাদারীপুরের কালকিনিতে দুটি ব্রিজের অভাবে দু’গ্রামের মানুষের চরম দূর্ভোগের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুটি ব্রিজ নির্মান করলে শিশু ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বয়সী প্রায় ১০হাজার মানুষ ঝুকি মুক্ত চলাচল করতে পারবে। এখনই ব্রিজ দুটি নির্মিত না হলে বর্ষা মৌসুমে উপজেলা সদরের সাথে ওই দু’গ্রামের মানুষের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে বলে গ্রামবাসি জানিয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের খুনেরচর ও আউলিয়ার চর গ্রামের মানুষ জন্মের পর থেকেই বর্ষা মৌসুমে তাদের নৌকা আর পানিতে সাতার কেটে চলাই ছিল একমাত্র রাস্তা। ১ মাস আগে ঐ গ্রামের ওপর দিয়ে একটি খাল খনন করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তখন খাল খননের মাটি দিয়ে তিন কিলোমিটারের একটি রাস্তা কি ভাবে তৈরি করা যায় তা নিয়ে এলাকাবাসীর সাথে আলোচনা করেন ৮নং ওয়ার্ড মেম্বর মোঃ আজাদ হোসেন সরদার। ৩শতাধিক পরিবার বিনা শর্তে তাদের জমির উপর দিয়ে রাস্তাটি নির্মান করার অনুমতি দেন। সেখানে প্রায় ৩কিঃমিঃ এর দুটি কাচা রাস্তা নির্মান করা হয় । খুনেরচর গ্রামের মোঃ সৈয়দ আলী খাঁর বাড়ী সংলগ্ন ও মানিক খাঁর হাট সংলগ্ন মোঃ লিয়াকত আলী খাঁর বাড়ীর পাশে খালের উপর রাস্তার সংযোগ সড়কের জন্য দুটি সাকো নির্মাণ করা হয়। নবনির্মিত এই সড়কটি দিয়ে মানুষের যাতায়াত বেড়ে যাওয়ায় সাকো দুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। এমনকি আগামী বর্ষা মৌসুমে পানিতে সাকো তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
খুনেরচর গ্রামের মোঃ বাবুল সরদার, সিরাজ হাওলাদার, আকবর হাওলাদার, সামচু খা, আউলিয়ারচর গ্রামের মোবারক খাঁ, নুরজাহান বেগম, তাছলিমা বেগম, রাশিদা বেগমসহ শতাধিক এলাকাবাসী বলেন, রাস্তা দুটি নির্মাণ হওয়ায় শুধু দুটি গ্রামের ১০ হাজার মানুষের উপকার না। বরিশালের মুলাদী উপজেলা বাটামারা ইউনিয়নের মানুষও এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে তাদের জীবিকা নির্বাহসহ বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করতে পারবে। বর্তমানে দুটি ব্রিজ নির্মাণ হলে আমরা ভ্যান-রিক্সায়ও চলাচল করতে পারবো তাতেও অনেকের জীবিকা নির্বাহ হবে। সরকারের কাছে আমাদের দাবী যাতে আমাদের কষ্টের কথা ভেবে দুটি ব্রিজ দ্রুত নির্মান ও রাস্তাটি ড্রেজিংএর ব্যবস্থা করার জন্য আবেদন করছি।
বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার আজাদ হোসেন বলেন, আমার জন্মের পর থেকে দেখে আসছি ঐ দুটি গ্রামের মানুষ বর্ষা মৌসুমে নৌকা কিংবা পানিতে সাতার কেটে চলতে। তাই নিজে গ্রামবাসীর সাথে আলোচনা করে প্রায় ৩শতাধিক পরিবারের জমির উপর দিয়ে এই রাস্তা দুটি নির্মান করেছি। বর্তমানে দুটি ব্রিজ নির্মিত হলে এলাবাসি যানবাহনে ও চলাচল করতে পারবে।