মেহেদী হাসান সোহাগ(মাদারীপুর): তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত ৫ ঘন্টা ব্যাপী মাদারীপুরের রাজৈরের টেকেরহাট বন্দরের উত্তরপারে ঢাকা- বরিশাল মহাসড়কে গোপালগঞ্জ-মাদারীপুর দুই জেলার সীমান্তে তুমুল সংঘর্ষে ৪ পুলিশসহ শতাধিক আহত, দোকানপাট ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে। এসময় ঢাকা-বরিশাল মহাসহড়ক ৫ ঘন্টা গাড়ী চলাচল বন্ধ ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার হরিরচর গ্রামের মান্না টেকেরহাট উত্তরপাড় হয়ে দুই মেয়েকে নিয়ে বাড়ী ফিরছিল । পথি মধ্যে চোখের উপর লাইটের আলো পড়লে ঐস্থানে অবস্থানরত মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার তাতীকান্দা গ্রামের বিপ্লব ও নুর মোহাম্মাদকে দোষারুপ করে । বিপ্লব ও নুর মোহাম্মাদ অভিযোগ অস্বীকার করে। এনিয়ে দ্জুনের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয় । এর জের ধরে শনিবার সকাল থেকে চরপ্রসন্নদী ও তাতীকান্দা দুই গ্রামের লোকদের মধ্যে গোলমাল চলে আসছিল। একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গোলমাল ব্যাপক সংঘর্ষে লিপ্ত হয় এবং তা দুই উপজেলার দুই গ্রামের ছড়িয়ে পড়লে তুমুল সংঘর্ষে রুপ নেয় । খবর পেয়ে দুই থানার পুলিশ, মাদারীপুর থেকে পুলিশ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উত্তম কুমারসহ দাঙ্গা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করে। কিন্তু ব্যর্থ হয়ে অসহায় হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে সংঘর্ষকারীদের সাথে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয় এবং সংঘর্ষ ব্যাপকতায় রুপ নিয়ে দুই উপজেলার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। হামলাকারীরা ২০টি দোকান ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নি সংযোগ করে। পরে দ্ইু জেলার পুলিশ এসে স্থানীয় পুলিশের সাথে যোগ দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ৭০ রাইন্ড ,টিয়ারগ্যাস ও ফাকা গুলি বর্ষন করে। সংঘর্ষ চলাকালে এসআই রশিদ ও ডিবি পুলিশ নজরুল, এসআই আবদুল আজিজ, কনষ্টেবল কামরুল হাসান, জুয়েল, খায়ের, এয়াকুব, খোকন বেপারী, আহাদ, রনিসহ শতাধিক আহত হয় । মারাত্মক আহতদের রাজৈর হাসপতালে ও অন্যান্য আহতদের স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয় । এ সংঘর্ষ সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৩টা পর্যনÍ চলে। এসময় সংঘর্ষের(হ্যামিল্টন ব্রিজের) উভয়পাশে ১০ কিলোমিটার ব্যাপী ৯শতাধিক গাড়ীসহ অর্ধালক্ষাধিক যাত্রী আটকা পড়ে যায় ।
রাজৈর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান জানান, খবর পেয়ে বিজিবি নিয়ে ঘটনা স্থলে যাই এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে ফিরে আসি । উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জানান, আমি ঘটনা স্থলেএসেছি। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত ।
Discussion about this post