দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের (সরকারি ও বেসরকারি) সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সদস্যদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম গ্র্যাজুয়েট বিধান করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
রিটের বিবাদীরা হলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) এবং উচ্চ ও মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান।
আজ বুধবার (৪ নভেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জনস্বার্থে মানবাধিকার সংগঠন লিগ্যাল সাপোর্ট অ্যান্ড পিপলস রাইডস ফাউন্ডেশনের পক্ষে সংগঠনের চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জহির উদ্দিন লিমন এই রিট করেন।
জহির উদ্দিন লিমন বলেন, একটি হাইস্কুলের শিক্ষক হতে হলে কমপক্ষে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে হয়। কেউ কেউ দেশের সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করেও এসব প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। সেই শিক্ষকদের পরিচালনার ক্ষেত্রে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সদদস্যদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম ডিগ্রি পাস অথবা গ্র্যাজুয়েট হওয়া দরকার।

রিটে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি নয় বলে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই বিধান চালু হলো। তাহলে কেন সরকারি ও বেসকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করা হবে না।
জহির উদ্দিন লিমন বলেন, আমার নিজের স্কুল থেকে লেখাপড়া করে আসা শিক্ষার্থীরা সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার ও সরকারের বিভিন্ন দফতরসহ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন। কিন্তু ওই স্কুল থেকে গত ৫ বছর ধরে কোনো শিক্ষার্থী গ্রেড ‘এ’ প্লাস পাচ্ছে না। তার কারণ বা নেপথ্যে কী সমস্যা সেটা খুঁজে বের করার জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন লোক কমিটিতে থাকা দরকার।
উল্লেখ্য, স্নাতক (পাস) ও অনার্স-মাস্টার্স কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হবার ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ডিগ্রি পাস নির্ধারণ করা আছে। অন্যদিকে, হাইকোর্টের রায়ে গ্রাজুয়েট ব্যক্তি ছাড়া (ডিগ্রি পাসের নিচে নয়) ফাজিল (স্নাতক) মাদরাসার গভর্নিং বডির সভাপতি হতে পারবে না।
Discussion about this post