ডেস্ক রিপোর্ট
চতুর্দিকে বিল বেষ্টিত এক পাড়াগাঁ “বিলপৌলী”। গ্রামের মানুষগুলির উচ্চ শিক্ষার হার হাতে গোনা। চিন্তায়, চেতনায়,ধর্মীয় আচার রীতিনীতিতে বিংশ শতাব্দীতেও বেশ পিছিয়ে এখানকার জনপদ।আর এই পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে এই বিলপৌলী গ্রামের এক হিতৈষী বধূ জনাব ছালমা আক্তার এগিয়ে এসে ২২ শতাংশ সম্পত্তি দান করে তা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ওয়াক্ফ প্রশাসক কার্যালয়ে তালিকাভূক্ত করেন, যার ই.সি. নং- ২২১৯৮ এবং তার ছেলে মোঃ রবিউল আলম কে মোতাওয়াল্লী নিয়োগ করেন। তদস্থলে ধর্মীয় অনুভুতিতে গড়েছেন একটি মসজিদ। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি পাঠাগার। জ্ঞানের আলোতে দূর হবে গ্রামীন জনপদের শতবর্ষের কুসংস্কার।এই গ্রামের শিক্ষায় পিছিয়ে পড়া ছেলে-মেয়েদের মধ্যে তৈরি হবে আগামীর উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মকর্তা, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার।তাদের হাত ধরেই আলোকিত হবে আগামীর বিলপৌলী গ্রামের নতুন প্রজন্ম।

এই স্বপ্ন আজ অধরা।একই গ্রামের বাসিন্দা মোঃ জহিরুল ইসলাম রাজনৈতিক ও পেশীশক্তির প্রভাব খাটিয়ে তার ভগ্নিপতি জনৈক আব্দুল হালিম এবং আপন ছোট ভাই মোঃ জানে আলম উক্ত সরকারী ওয়াক্ফ সম্পত্তির দুই-তৃতীয়াংশ জবর দখল করেছে এবং অবশিষ্ট সম্পত্তিও জবর দখলের পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই মর্মে স্থানীয় ওয়াক্ফ এস্টেট পরিচালনা কমিটির সদস্য ও সাধারন জনগন বাধা প্রয়োগের চেষ্টা করলে তাদের নানান ভাবে হুমকি ধামকি ও মামলা হামলার ভয় ভীতি প্রদর্শন করছেন স্থানীয় জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সদস্য এডভোকেট মোঃ জহিরুল ইসলাম। ইতিপূর্বে ২০১৬ সালে মোঃ জহিরুল ইসলামের নানাবিধ অত্যাচার ও অপকর্মে অতিষ্ট হয়ে স্থানীয় জনগন মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি পালন করেছেন যা বিভিন্ন প্রেস ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছিল।

উল্লিখিত বেদখল হওয়া ওয়াক্ফ সম্পত্তি জবর দখলকারীদের হাত হতে উদ্ধার করার জন্য মোতাওয়াল্লী ইতিমধ্যেই আগষ্টের ১৯ তারিখে সংশ্লিষ্ট ওয়াক্ফ প্রশাসকের দপ্তরে লিখিত আবেদন করেছেন এবং আগষ্টের ২০ তারিখে সংশ্লিষ্ট দৌলতপুর থানায় একটি সাধারন ডায়েরী দায়ের করেছেন । সাধারন ডায়েরী দায়েরের পরের দিন ২১শে আগষ্ট পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ঘটনার সত্যতা পেয়ে জবর দখলকারীগনকে তাদের নির্মান কার্যক্রম স্থগিত করার মৌখিক আদেশ দেয়ার পরেও মোঃ জহিরুল ইসলাম এর নির্দেশে মোঃ জানে আলম সরকারী ওয়াক্ফ সম্পত্তি অবৈধভাবে জবর দখলের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
Discussion about this post