
ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ ও মানহানির মামলাগুলো স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের ওপর আগামী ১৩ এপ্রিল আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। এ সময়ের মধ্যে তাঁকে দেশের সংশ্লিষ্ট আদালতগুলোতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়ে আসতে বলা হয়েছে।
সোমবার (২৮ মার্চ) মাহফুজ আনামের করা দুটি আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি সৈয়দ মো. দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি এম সাহিদুল হকের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
মাহফুজ আনামের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক।
সারা দেশে মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে করা ৮৩টি মামলার মধ্যে ৭৪টি স্থগিতাদেশ চেয়ে গতকাল রোববার হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। একই সঙ্গে সব মামলা একত্র করে একটি আদালতে নিয়ে আসার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
মোট মামলার মধ্যে আটটিতে বিভিন্ন জেলার আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন মাহফুজ আনাম।
মামলাগুলোর এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রকাশ করেন মাহফুজ আনাম। শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে চিরতরে সরিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে ডেইলি স্টার দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে।
ডেইলি স্টারের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে গত ৩ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে এটিএন নিউজের এক টক শোতে মাহফুজ আনাম স্বীকার করেন, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইর সরবরাহ করা খবর যাচাই ছাড়া প্রকাশ করা তাঁর সাংবাদিকতা জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল। তিনি আরো বলেন, এ খবর বেশির ভাগ সম্পাদক ছেপেছেন, কেবল নিউ এজের নূরুল কবির ছাড়া।
মাহফুজ আনামের একই স্বীকারোক্তির পর ব্যাপক সমালোচনা ও তাঁর বিরুদ্ধে সারা দেশে মামলার হিড়িক পড়ে।




Discussion about this post