নিজস্ব প্রতিবেদক: ৬ হাজার ৪৫৬ জন মুক্তিযোদ্ধার সম্মানী ভাতার প্রায় ৪ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
আজ রবিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন আইনজীবী অমিত দাস গুপ্ত। বিষয়টি করে আইনজীবী অমিত দাস জানান, রিটে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বরিশালের জেলা প্রশাসক, তথ্য কমিশনের প্রধান তথ্য কর্মকর্তাসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়েছে।
পরে আইনজীবী অমিত দাস গুপ্ত বলেন, রিটে ভাতা লোপাটের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশনা ছাড়াও রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে। আবেদনটি বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হতে পারে।
গত ২ জানুয়ারি ‘সাড়ে ৬ হাজার মুক্তিযোদ্ধার ভাতা লোপাট’ শিরোনামে একটি দৈনিক পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বরিশালে ৬ হাজার ৪৫৬ জন মুক্তিযোদ্ধার সম্মানী ভাতার প্রায় চার কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বলছে, মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বাবদ এই টাকা ছাড় করেছে তারা। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধারা জানিয়েছেন, তাদের হাতে এই টাকা এখনও পৌঁছায়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মূলত জেলা প্রশাসক, বরিশালের কার্যালয় থেকেই এই গরমিল শুরু। কিন্তু জেলা প্রশাসন বলছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মন্ত্রণালয় থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা বাবদ প্রায় চার কোটি টাকা কম দেয়া হয়েছে। এ ঘটনার পর ইতোমধ্যে বরিশালে চারজন জেলা প্রশাসক বদলি হয়েছেন। কিন্তু আজও এ সমস্যার সমাধান হয়নি। ভাতাও বুঝে পাননি মুক্তিযোদ্ধারা।
Discussion about this post