Friday, November 28, 2025
  • Login
No Result
View All Result
Home
BDLAWNEWS.COM
  • বাংলাদেশ
    • খুলনা
    • চট্টগ্রাম
    • ঢাকা
    • বরিশাল
    • ময়মনসিংহ
    • রংপুর
    • সিলেট
    • রাজশাহী
  • জাতীয়
    • দেশ জুড়ে
    • রাজনীতি
    • অনিয়ম
    • দেশ ও দশ
    • একাদশ নির্বাচন
  • আন্তর্জাতিক
  • আইন আদালত
    • উচ্চ আদালত
    • কোর্ট প্রাঙ্গণ
    • আইন সংস্থা
    • যুগান্তকারী রায়
    • আইনী ভিডিও
  • আইন পড়াশুনা
    • দৈনন্দিন জীবনে আইন
    • গুণীজন
    • মতামত
    • আইন জিজ্ঞাসা
    • ইংরেজি
    • ব্লগ
  • আইন চাকুরী
  • সকল বিভাগ
    • ’ল’ ক্যাম্পাস
    • সাক্ষাৎকার
    • সাহিত্য
    • মানবাধিকার
    • খেলাধুলা
    • বিনোদন
    • খেলাধুলায় আইন
    • একাদশ নির্বাচন
    • আইন জিজ্ঞাসা
    • যুগান্তকারী রায়
    • আইন সংস্থা
    • দেশ ও দশ
    • সদ্যপ্রাপ্ত
    • সর্বশেষ সংবাদ
  • বাংলাদেশ
    • খুলনা
    • চট্টগ্রাম
    • ঢাকা
    • বরিশাল
    • ময়মনসিংহ
    • রংপুর
    • সিলেট
    • রাজশাহী
  • জাতীয়
    • দেশ জুড়ে
    • রাজনীতি
    • অনিয়ম
    • দেশ ও দশ
    • একাদশ নির্বাচন
  • আন্তর্জাতিক
  • আইন আদালত
    • উচ্চ আদালত
    • কোর্ট প্রাঙ্গণ
    • আইন সংস্থা
    • যুগান্তকারী রায়
    • আইনী ভিডিও
  • আইন পড়াশুনা
    • দৈনন্দিন জীবনে আইন
    • গুণীজন
    • মতামত
    • আইন জিজ্ঞাসা
    • ইংরেজি
    • ব্লগ
  • আইন চাকুরী
  • সকল বিভাগ
    • ’ল’ ক্যাম্পাস
    • সাক্ষাৎকার
    • সাহিত্য
    • মানবাধিকার
    • খেলাধুলা
    • বিনোদন
    • খেলাধুলায় আইন
    • একাদশ নির্বাচন
    • আইন জিজ্ঞাসা
    • যুগান্তকারী রায়
    • আইন সংস্থা
    • দেশ ও দশ
    • সদ্যপ্রাপ্ত
    • সর্বশেষ সংবাদ
No Result
View All Result
BDLAWNEWS.COM
No Result
View All Result
Home আইন জিজ্ঞাসা
মুসলিম উত্তরাধিকার আইন

মুসলিম আইনে নারীর অধিকার

মুসলিম উত্তরাধিকার আইন সম্পত্তিতে নারীর অধিকার

by বিডিএলএন রিপোর্ট
October 1, 2020
in আইন জিজ্ঞাসা, আইন পড়াশুনা, আইন-আদালত, দৈনন্দিন জীবনে আইন, শীর্ষ সংবাদ, সদ্যপ্রাপ্ত, সর্বশেষ সংবাদ
0
A A
0
1.2k
VIEWS
Facebook

মুসলিম উত্তরাধিকার আইন এ নারীর সম্পত্তির ভাগ

মুসলিম উত্তরাধিকার আইন একজন ব্যক্তির সকল উত্তরাধিকারীকেই তার সম্পত্তির অধিকার প্রদান করেছে। মুসলিম আইনে সন্তানের উত্তরাধিকার জন্মসূত্রেই সুস্পষ্ট, যা কোনোভাবেই খর্ব করা যায় না। সাধারণত মুসলিম আইন অনুযায়ী পিতা-মাতার কাছে তার সন্তান প্রাধান্য পাবে এটাই স্বাভাবিক, পিতা-মাতা ছাড়াও অন্য সম্পর্ক থেকেও নারীরা সম্পত্তির ভাগ পেয়ে থাকে এবং মুসলিম আইনে তাদের উত্তরাধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত। মুসলিম আইনে রক্তের সম্পর্কিত এবং বিয়ের মাধ্যমেই উত্তরাধিকার সৃষ্টি হয়।

মুসলিম উত্তরাধিকার আইন

মুসলিম উত্তরাধিকার আইন কী:

একজন মুসলিম নারী বা পুরুষের মৃত্যুর পর তার রেখে যাওয়া সম্পত্তি থেকে মৃতের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার পর, তার দেনাশোধ বা তিনি যদি কোনো উইল সম্পাদন করেন তা হস্তান্তরের পর যে সম্পত্তি অবশিষ্ট থাকে সে সম্পত্তির ওপর তার সন্তানাদি ও আত্মীয় স্বজনের যে অধিকার তাই উত্তরাধিকার। এর মানে, ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী কোন মুসলমান মারা গেলে তার ফেলে যাওয়া সম্পত্তি বা ত্যাজ্য সম্পত্তি কিভাবে কাদের মধ্যে বন্টন করা হবে সে সম্পকির্ত বিধানকে মুসলিম উত্তরাধিকার বা ফারায়েজ বলে। একজন ব্যক্তি মৃত্যু বরণ করলেই উত্তরাধিকার কার্যকর হয়।

মুসলিম আইনে সাধারণ তিন শ্রেণির উত্তরাধিকার আছে-

  • ১) কোরানিক অংশীদারগণ।
  • ২) অবশিষ্টাংশ ভোগীগণ।
  • ৩) দূরবর্তী আত্মীয়স্বজনগণ।

১) কোরানিক অংশীদারঃ এ অংশীদারদের তালিকা এবং স্ব স্ব অংশের পরিমাণ পবিত্র কোরআন কর্তৃক নির্ধারিত। তাদের চার জন পুরষ, আর আটজন নারী।

এই আটজন নারীরা হলেনঃ মাতা, পিতা বা মাতার মাতা, স্ত্রী, কন্যা, পুত্রের কন্যা, আপন বোন, বিমাতা বোন, বৈপিত্রেয় বোন। তাহাদের মধ্যে স্ত্রী, মাতা, কন্যা এ তিনজন কখনো উত্তরাধিকার হতে বঞ্চিত হয় না। তাই তাদেরকে প্রতক্ষ্য অংশীদার বলা হয়।

২) অবশিষ্টাংশ ভোগীগণঃ মৃত ব্যক্তির যাদের সাথে রক্তের সম্পর্ক আছে এবং যারা অংশীদারদের নির্দিষ্ট অংশ নেবার পর কোন সম্পত্তি অবশিষ্ট থাকলে তা অথবা কোন অংশীদার না থাকলে সমস্ত সম্পত্তি মৃত ব্যক্তির সাথে রক্তের সম্পর্ক আছে এমন সমস্ত নিকটবর্তী আত্নীয়রা তালিকায় উল্লেখিত ক্রমানুসারে লাভ করে থাকে।

মৃত ব্যক্তির এ সকল নিকটত্নীয়দেরকে অবশিষ্টাংশভোগী বলা হয়। এই অবশিষ্টংশ ভোগীদের কোন নির্দিষ্ট অংশ নাই। অংশীদারদের দেওয়ার পরেই কেবল অবশিষ্ট সম্পত্তি তারা পাবেন, কিন্তু এই অবশিষ্টাংশের পরিমাণ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম হতে পারে। যদি কোন অংশীদার না থাকেন, তবে সমস্ত সম্পত্তিই আসাবা বা অংশীদারগণ পাবেন। এ সকল আসাবা বা অবশিষ্টাংশ ভোগীগণকে এগনেটিক ওয়ারিশ ও বলা হয়। কারণ এরা পুরুষ আত্নীয়ের মাধ্যমেই ওয়ারিশ হয়ে থাকে।

গ) দূরবর্তী আত্নীয়গণঃ মৃত ব্যক্তির অংশীদার এবং অবশিষ্টাঅংশভোগী না থাকলেই এরা সম্পত্তি পাবে।

একজন মুসলিম নারী বা পুরুষের মৃত্যুর পর তাঁর সম্পত্তি ভাগের আগে যা অবশ্যই করনীয়ঃ

  • ১) যদি মৃত ব্যক্তির পর্যাপ্ত সম্পত্তি থাকে তবে তাঁর সম্পত্তি থেকে তাঁর দাফন কাফনের ব্যবস্থা করা।
  • ২) মৃত ব্যক্তির কোন প্রকারের ঋণ কিংবা ধার দেনা থাকলে তা ঐ ব্যক্তির সম্পদ থেকে পরিশোধ করার ব্যবস্থা করা।
  • ৩) মৃত ব্যক্তির স্ত্রীর দেনমোহোর পরিশোধ হয়েছে কিনা দেখা যদি না হয়ে থাকে তা পরিশোধ করা।
  • ৪) মৃত ব্যক্তি যদি কোন হেবা বা দান কিংবা অসিয়ত করে যান তবে উল্লেখিত সম্পত্তি দান করে দেয়া।

এবার যদি উপরের কাজ সমূহ করার পরে মৃত ব্যক্তির কোন সম্পদ-সম্পত্তি অবশিষ্ট থাকে তবে অবশিষ্ট সম্পদ-সম্পত্তি তাঁর উত্তরাধিকারীদের মাঝে বন্টন করতে হবে। তবে বন্টনের ক্ষেত্রে মুসলিম আইন অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট পরিমাণ উল্লেখ আছে।

মুসলিম আইনে মৃত ব্যক্তির সম্পত্তিতে নারী উত্তরাধিকারীরা কে কি পরিমাণ অংশ পাবেনঃ

মৃত ব্যক্তি (স্বামীর) সম্পত্তিতে বিধবা স্ত্রীর অধিকার:

মৃত ব্যক্তির স্ত্রী একজন থাকুক আর একাধিক থাকুক তাদের সম্পত্তি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে দুটি অবস্থা উল্লেখ করা যায়;যথা-

  • (ক) মৃত ব্যক্তির সন্তান সন্ততি বা তার নীচে কেউ না থাকলে স্ত্রী ১/৪ অংশ পাবে।
  • (খ) অপরদিকে মৃত ব্যক্তির সন্তান সন্ততি বর্তমান থাকলে সেক্ষেত্রে স্ত্রী ১/৮ অংশ পাবে।

আর যদি মৃত ব্যক্তির একাধিক বিধবা স্ত্রী থাকে, তবে সব বিধবা স্ত্রীরাই উপরোক্ত ১/৪ বা ১/৮ অংশ হতে যেরকমই হয়, সমান হারে তাদের অংশ ভাগ করে পাবে।

স্বামী পীড়িত অবস্থায় স্ত্রীকে তালাক দিলে উক্ত তালাকী স্ত্রীর ইদ্দত কাল এর মধ্যে স্বামী মারা গেলে তালাকী স্ত্রী স্বামীর ওয়ারিশ হবে। কিন্তু স্বামী একইভাবে স্ত্রীর উত্তরাধিকারী হতে পারবেনা।

মৃত ব্যাক্তির সম্পদে পরিবারের নারীদের অধিকার বিষয়ক এই ভিডিওটি কাংখিত প্রশ্নের সমাধান দিতে সমর্থ হবে বলে ধারনা করা যাচ্ছে।

মৃত ব্যক্তি (পিতার) সম্পত্তিতে কন্যার অধিকারঃ

মুসলিম উত্তরাধিকার আইন এ মৃত ব্যক্তির ঔরশজাত কন্যার অংশ বন্টনের ক্ষেত্রে তিন অবস্থায় অংশ বন্টন করা হয়। যেমন-

  • (ক) মৃত ব্যক্তির কন্যা একজন থাকলে এবং পুত্র না থাকলে সে ১/২ (অর্ধেক) ভাগ সম্পত্তি পাবে।
  • (খ) দুই বা ততোধিক কন্যা থাকলে এবং কোন পুত্র না থাকলে তারা ২/৩ (তিন ভাগের দুই) ভাগ সমানভাগ পাবে।
  • (গ) মৃত ব্যক্তির পুত্র থাকলে কন্যা/কন্যারা অংশীদার হিসেবে সম্পত্তি না পেয়ে পুত্রের সাথে ২:১ অনুপাতে অর্থাৎ অবশিষ্টাংশভোগী হিসেবে পুত্র যা পাবে কন্যা তার অর্ধেক পাবে। কন্যা কখনো পিতা/মাতার সম্পত্তি হতে বঞ্চিত হয়না।

মৃত ব্যক্তি (সন্তানের) সম্পত্তিতে মাতার অধিকারঃ

মৃত ব্যক্তির মা তিন ভাবে সম্পত্তি পাবেন
যদি মৃত ব্যক্তির কোন সন্তান বা পুত্রের সন্তানাদি, যত নিম্নেরই হউক, থাকলে অথবা যদি পূর্ণ, বৈমাত্রেয় বা বৈপিত্রেয় ভাই বা বোন থাকে তবে মাতা ছয় ভাগের এক ভাগ ( ১/৬) পাবেন।

যদি মৃত ব্যক্তির কোন সন্তান বা পুত্রের সন্তানাদি, যত নিম্নের হউক না থাকে এবং যদি একজনের বেশি ভাই বা বোন না থাকে তবে মাতা তিন ভাগের এক ভাগ ( ১/৩) পাবেন।

যদি মৃত ব্যক্তির কোন সন্তান বা পুত্রের সন্তানাদি, যত নিম্নের হউক না থাকে অথবা কমপক্ষে দুইজন ভাইবোন না থাকে এবং যদি মৃত ব্যক্তির স্বামী বা স্ত্রী অংশ দেয়ার পর যা অবশিষ্ট থাকবে তার তিন ভাগের এক ভাগ (১/৩) মাতা পাবেন।

মৃত ব্যক্তির সম্পত্তিতে তার প্রকৃত মাতামহী/পিতামহী (নানী/দাদী) এর অধিকারঃ

উত্তরাধিকার লাভের ক্ষেত্রে নানী/দাদীর তিনটি অবস্থা লক্ষ্য করা যায়:

  • (ক)মৃত ব্যক্তির মাতা, নিকটতম প্রকৃত মাতামহী কিংবা নিকটতম প্রকৃত পিতামহী না থাকলে নানী ১/৬ অংশ সম্পত্তি লাভ করেন।
  • (খ) মৃত ব্যক্তির মাতা, পিতা, নিকটতম প্রকৃত মাতামহী কিংবা নিকটতম প্রকৃত পিতামহী না থাকলে দাদী ১/৬ অংশ সম্পত্তি লাভ করেন।
  • (গ) দাদী ও নানী উভয়েই থাকরে তারা একত্রে ১/৬ অংশ সমান পাবেন। প্রকৃত পিতামহী হলেন এমন একজন পূর্বনারী যার এবং মৃত ব্যক্তির মধ্যে মাতৃ সম্পর্কীয় কোন পিতামহ মধ্যবর্তী হননা।

যেমন: পিতার মাতা, পিতার মাতার মাতা, পিতার পিতার মাতা, মাতার মাতা মাতার মাতার মাতা।

পুত্রের কন্যার অথবা পুত্রের পুত্রের কন্যা অর্থাৎ পোত্রীর অধিকারঃ

পুত্রের কন্যা বা পুত্রের পুত্রের কন্যা যত নিম্নের হোক এর উত্তরাধিকার আইন, ১৯৬১ সনের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ এর ৪ ধারার প্রভাবে পরিবর্তন হয়েছে বিধায় তা মূল মুসলিম হানাফী আইন এবং পরিবর্তিত আইন এই দুই উপ-শিরোনামে আলোচনা করা যায়। মুসলিম পারিবারিক অধ্যাদেশ এর ৪ ধারার প্রভাবে এই বঞ্চিত হওয়ার বিধান বাতিল হয়েছে।

উক্ত ধারার মূল মুসলিম হানাফী আইনঃ মুল মুসলিম হানাফী আইন অনুসারে পুত্রের কন্যার সম্পত্তি লাভের ক্ষেত্রে চারটি অবস্থা লক্ষ্য করা যায়:

  • (ক) মৃত ব্যক্তির পুত্র বা একাধিক কন্যা থাকলে পুত্রের কন্যা সম্পূর্ণরূপে উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়।
  • (খ) মৃত ব্যক্তির পুত্র-কন্যা না থাকলে পুত্রের কন্যা একা হলে ১/২ অংশ এবং একাধিক হলে ২/৩ অংশ সম্পত্তি পায়।
  • (গ) মৃত ব্যক্তির যদি একমাত্র কন্যা তাকে, তবে পুত্রের কন্যা একা বা একাধিক যাই থাকুক একা বা সবাই শুধুমাত্র ১/৬ অংশ পাবে। একাধিক হলে এই ১/৬ অংশ সবাই সমানভাবে পাবে।
  • (ঘ) মৃত ব্যক্তির পুত্রের পুত্র থাকলে, পুত্রের কন্যা অবশিষ্টাংশভোগী হিসেবে তার বা তার সাথে ২:১ সম্পত্তি লাভ করবে।

পুত্রের পুত্রের কন্যা যত নিম্নের হোক পুত্রের কন্যার মত পুত্রের পুত্রের কন্যার সম্পত্তি লাভের ক্ষেত্রে ও চারটি অবস্থা লক্ষ্য করা যায়।

  • (ক) মৃত ব্যক্তির পুত্র বা একাধিক কন্যা বা নিকটতম পুত্রের পুত্র বা নিকটতম পুত্রের পুত্র বা নিকটতম পুত্রের একাধিক কন্যা থাকলে দুরবর্তী পুত্রের কন্যা উত্তরাধিকার হতে সম্পূর্ণরূপে বঞ্চিত হয়।
  • (খ) মৃত ব্যক্তির পুত্র কন্যা বা নিকটতম পুত্রের পুত্র বা নিকটতম পুত্রের কন্যা না থাকলে দূরবর্তী কন্যা একা হলে ১/২ অংশ এবং একত্রে হলে সবাই ২/৩ অংশ পাবে।
  • (গ) মৃত ব্যক্তির যদি একমাত্র কন্যা বা নিকটতম পুত্রের একমাত্র কন্যা থাকে, তবে দূরবর্তী পুত্রের কন্যা এক বা একাধিক যাই থাকুক, একা বা সবাই একত্রে শুধুমাত্র ১/৬ অংশ পাবে।
  • (ঘ) পুত্রের পুত্রের কন্যার সাথে সমান স্তরে পুত্রের পুত্র থাকলে পুত্রের পুত্রের কন্যা অবশিষ্টাংশভোগী হিসেবে তার বা তাদের সাথে ২:১ হারে সম্পত্তি লাভ করবে। একই সাথে পুত্রের পুত্র/পুত্রের কন্যা এবং পুত্রের পুত্রের পুত্র/পুত্রের পুত্রের কন্যা অবস্থান করে তখন প্রথম ব্যক্তি শেষোক্ত ব্যাক্তির তুলনায় মৃত ব্যক্তির নিকটতম পুত্রের পুত্র/পুত্রের কন্যা হিসেবে গন্য করা হয়। একই সাথে যখন পুত্রের পুত্রের পুত্র ও পুত্রের পুত্রের কন্যা অবস্থান করে তখন তাদেরকে সমান স্তরের পুত্রের পুত্রের পুত্র এবং পুত্রের পুত্রের কন্যা হিসেবে উল্লেখ করা যায়।

মৃত ব্যক্তির সম্পত্তিতে তার বৈমাত্রেয় বোনের অধিকারঃ

মুসলিম উত্তরাধিকার আইন এ মৃত ব্যক্তির বৈমাত্রেয় বোন থাকলে তার অংশ ছয়টি অবস্থায় বন্টন করা হয়ে থাকে।যেমন –

  • (ক) মৃত ব্যক্তির বৈমাত্রেয় বোন একজন থাকলে সে ১/২ অংশ প্রাপ্ত এবং একাধিক বৈমাত্রেয় বোন একত্রে ২/৩ অংশ সমানভাগে পায়।
  • (খ) মৃত ব্যক্তির বৈমাত্রেয় ভাই বর্তমান থাকলে সেক্ষেত্রে বৈমাত্রেয় বোন তার সাথে অবশিষ্টাংশভোগী বা আসাবা হবে এবং ভাই যত পাবে বোন তার অর্ধেক অংশ পাবে ২:১ হারে সম্পত্তি পায়।
  • (গ) মৃত ব্যক্তির একজন মাত্র আপন বোন থাকলে বৈমাত্রেয় বোন একজন হোক আর একাধিক হোক সবাই একত্রে ১/৬ অংশ পাবে।
  • (ঘ) কিন্তু আপন বোন একাধিক থাকলে বৈমাত্রেয় বোন বঞ্চিত হবে। যেমন: মৃত ব্যক্তি বৈমাত্রেয় বোন আপন বোন চাচা ২/৩ ১/৩
  • (ঙ) মৃত ব্যক্তির পুত্র, পুত্রের সন্তান যত নীচের হোক, পিতা অথবা পিতার পিতা অর্থাত্ দাদা, একাধিক আপন ভাই এর উপস্থিতিতে বৈমাত্রেয় বোন উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।
  • (চ) মৃত ব্যক্তির কন্যা বা পুত্রের কন্যা বর্তমান থাকলে তার সাথে অবশিষ্টাংশভোগী হবে এবং অবশিষ্ট সম্পত্তি পাবে।

বৈপিত্রেয় ভাই ও বৈপিত্রেয় বোনের অধিকারঃ

বৈপিত্রেয় ভাই/বোন এর উত্তরাধিকারলাভে দুটি অবস্থা লক্ষ্য করা যায়।

(ক) মৃত ব্যক্তির পুত্র, কন্যা, পুত্রের পুত্র বা পুত্রের কন্যা ইত্যাদি কেউই বর্তমান না থাকলে ও একজন বৈপিত্রেয় ভাই বা বোন থাকলে ও সে ১/৬ অংশ এবং একাধিক বৈপিত্রেয় ভাই/বোন একত্রে ১/৩ অংশ সমানভাবে পাবে। বৈপিত্রেয় ভাই- বোনেরা সমান অংশ পায়। এক্ষেত্রে ভাই- বোনের অংশের অনুপাত ২:১ না হয়ে ১:১ হবে।

(খ) মৃত ব্যক্তির পুত্র, কন্যা, পৌত্র (পুত্রের পুত্র), পৌত্রী (পুত্রের কন্যা), পিতা বা পিতার পিতা ইত্যাদি কেউ জীবিত থাকলে বৈপিত্রেয় ভাই/বোন উত্তরাধিকার হতে বাদ পড়ে।

পরিবর্তিত আইনঃ

মৃত ব্যক্তির সম্পত্তিতে তার আপন বোনঃ

মুসলিম উত্তরাধিকার আইন এ মৃত ব্যক্তির পুর্ণ বোন বা সহোদর বোন থাকলে তারা পাঁচটি অবস্থায় অংশ প্রাপ্ত হয়ে থাকে। যেমন –

  • (ক) মৃত ব্যক্তির যদি একজন আপন বোন থাকে তাহলে সে ঐ ব্যক্তির সম্পত্তির ১/২ অংশ পাবে।
  • (খ) যদি দুই বা ততোধিক সহোদর বোন থাকে তাহলে তারা ঐ সম্পত্তির ২/৩ অংশ পাবে।
  • (গ) আপন ভাইয়ের উপস্থিতিতে আপন বোন অবশিষ্টাংশভোগী হিসেবে ২:১ হারে সম্পত্তি পেতে পারে।
  • (ঘ) আপন বোন মৃত ব্যক্তির সন্তান, পুত্রের সন্তান যত নীচের হোক, বা পুত্রের উপস্থিতিতে ও সে অংশীদার হতে বাদ পড়ে অবশিষ্টাংশভোগী হিসেবে সম্পত্তি পেতে পারে । কিন্তু ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবরিক আইনের বিধান মোতাবেক আপন বোন কোন অংশ পাবেনা। পুত্রের কন্যাই সব অংশ পাবে।
  • (ঙ) মৃত ব্যক্তির পিতা বা দাদা বর্তমান থাকলে সহোদর বোন বঞ্চিত হবে।

এছাড়াও মুসলিম আইনে সম্পত্তিতে নারীর অধিকার অনুযায়ী একজন নারী (স্ত্রী, মাতা, কন্যা, বোন) নিম্নে উল্লেখিত অধিকারগুলো পেতে হকদার।ইসলাম ধর্মে এসব দায়দায়িত্ব থেকে নারীকে অব্যাহতি দিয়ে শুধু তা পুরুষের ওপরই অর্পণ করা হয়েছে। নারীর সম্পত্তিতে অধিকারের ক্ষেত্রে আমাদের আরও ধারনা রাখা দরকার ক্ষেত্রেবিশেষে। আইনের সম্পর্কে বিস্তারিত জানা অনেক দিক থেকে কার্যকরী বলে বিবেচিত হয়ে থাকে।

দেনমোহরের অধিকারঃ

মুসলিম উত্তরাধিকার আইন এ সম্পত্তিতে নারীর অধিকার অনুযায়ী, একজন মুসলিম নারী বিয়ের পর স্বামীর কাছ থেকে দেনমোহর বাবদ একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ পেয়ে থাকে। যা স্বামীকে অবশ্যই বিয়ের আগে অথবা বিয়ের পরে পরিশোধ করতে হয়। অন্যথা স্ত্রী তা যেকোনো সময় আইন অনুযায়ী আদায় করতে পারবে। কোনো কারণে স্বামী জীবিত অবস্থায় পরিশোধ করে যেতে না পারলে তার মৃত্যুর পর তার সম্পত্তি থেকে তা পরিশোধ করতে হয়।

ভরণ পোষণের অধিকারঃ

মুসলিম উত্তরাধিকার আইন এ সম্পত্তিতে নারীর অধিকার অনুযায়ী অনুযায়ী নারীদের যাবতীয় খরচের দায়-দায়িত্ব পুরুষের ওপর বর্তায়। পুত্রসন্তান উপার্জনক্ষম হলে তার ওপর সংসারের যাবতীয় দায়দায়িত্ব এসে পড়ে। আর সে যখন স্বামী তখন তাকে স্ত্রীর ভরণপোষণ দিতে হয়, সে যখন বাবা তখন তাকে তার ছেলেমেয়েদের ভরণপোষণ দিতে হয় এবং মেয়েদের বিয়ের ব্যবস্থা করতে হয়।

যখন সে ভাই তখন ছোট ভাইবোনদের ভরণপোষণ এবং অবিবাহিত বোনদের বিয়ের ব্যবস্থা করতে হয়। এ ছাড়া আমাদের দেশে মা-বাবার ভরণপোষণ নিয়ে আলাদা আইনও রয়েছে। ইসলাম ধর্মে এসব দায়দায়িত্ব থেকে নারীকে অব্যাহতি দিয়ে শুধু তা পুরুষের ওপরই অর্পণ করা হয়েছে। বিপরীতে কন্যা সন্তানের ক্ষেত্রে এসব দায়িত্ব পালন ঐচ্ছিক ব্যাপার। সে এসব দায়িত্ব পালন করতে না পারলে তাকে বাধ্য করা যাবে না।

উপরোক্ত পর্যালোচনা থেকে আমরা দেখতে পাই যে, মুসলিম আইনে সম্পত্তিতে নারীর অধিকার অনুযায়ী সকল নির্দেশনা সমানভাবে কার্যকর করতে হবে।  কারণ এখনও অধিকাংশ গ্রামগঞ্জে এমনকি শহরেও মুসলিম আইনে সম্পত্তিতে নারীর অধিকার থাকা সত্ত্বেও তাদের পিতৃ সম্পত্তি থেকে ব্যাপকভাবে বঞ্চিত করা হচ্ছে নানা রকম ছলচাতুরী দিয়ে।

কখনো বা সরাসরি বলে দেওয়া হচ্ছে যে, পরিবারের কোন নারী সদস্যকে কোন প্রকার সম্পত্তি দেওয়া হবে না। তাই আমাদের আগে মুসলিম নারীর সম্পত্তিতে প্রাপ্য অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে এবং কার্যকর করতে হবে।
লেখক: আইনজীবী ও ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম’র আদালত প্রতিনিধি, কুমিল্লা।

Next Post
যে আইনজীবীরা মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে তাদের নিজেদের অধিকারই নড়বড়ে

যে আইনজীবীরা মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে তাদের নিজেদের অধিকারই নড়বড়ে

Discussion about this post

নিউজ আর্কাইভ

November 2025
S S M T W T F
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  
« Oct    
Facebook Youtube RSS


সম্পাদক: এ বি এম শাহজাহান আকন্দ মাসুম,
আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট
সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ।

অফিস ঠিকানাঃ

বকাউল ম্যানশন, ৩য় তলা, সেগুন বাগিচা মোড়, ৪২/১/খ, সেগুন বাগিচা, ঢাকা - ১০০০ ।
মোবাইলঃ 01842459590

© 2021 BDLAWNEWS.COM - A News portal founded by A.B.M. Shahjahan Akanda Masum.

No Result
View All Result
  • আন্তর্জাতিক
  • ’ল’ ক্যাম্পাস
  • অনিয়ম
  • অন্যান্য
    • একাদশ নির্বাচন
    • খেলাধুলায় আইন
    • আইন চাকুরী
    • আইন জিজ্ঞাসা
  • আইন পড়াশুনা
  • আইন সংস্থা
  • আইন-আদালত
  • আইনী ভিডিও
  • ইংরেজি
  • উচ্চ আদালত
  • কোর্ট প্রাঙ্গণ
  • খেলাধুলা
  • গুণীজন
  • জাতীয়
  • জেলা আইনজীবী সমিতি
  • দেশ ও দশ
  • দেশ জুড়ে
  • অপরাধ
  • দৈনন্দিন জীবনে আইন
  • বাংলাদেশ
    • খুলনা
    • চট্টগ্রাম
    • ঢাকা
    • বরিশাল
    • ময়মনসিংহ
    • রাজশাহী
    • বগুড়া
  • বিনোদন
  • ব্লগ
  • মতামত
  • মানবাধিকার
  • রাজনীতি
  • লিগ্যাল নোটিশ
  • শিল্প ও সাহিত্য
  • শীর্ষ সংবাদ
  • সাক্ষাৎকার
  • যুগান্তকারী রায়

© 2021 BDLAWNEWS.COM - A News portal founded by A.B.M. Shahjahan Akanda Masum.

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In