সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের বক্তব্যের প্রতিবাদে আওয়ামী ওলামা লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।

এসময় হাছান মাহমুদ বলেন, ট্রানজিট আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনেই হচ্ছে। ভারতের সঙ্গে যে চুক্তি ও এমওউ স্বাক্ষরিত হয়েছে, তা না পড়েই খুব সম্ভবত বিএনপি নেত্রী বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। তাই ওনাকে (বেগম জিয়া) বলছি, আপনি এভাবে মূর্খের মতো কথা না বলে চুক্তি ও প্রটোকলের বিষয়গুলো ভালোভাবে পড়ে দেখুন।

তিনি বলেন, ভারত ও অন্য দেশ যেমন আমাদের দেশের মধ্য দিয়ে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে শুল্ক দেবে, তেমনি বাংলাদেশেরও অন্য দেশের ভূখণ্ড ব্যবহারে শুল্ক দিতে হবে।

হাছান মাহমুদ বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগে বিএনপি নেত্রী ও তার দল কিছুদিন ভারতবিরোধী বক্তব্য বন্ধ রেখেছিলো। খালেদা জিয়া নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে অনেক অনুনয়-বিনয় ও দেন-দরবারের পরে দেখা করেছিলেন। কিন্তু মোদির তিনটি প্রশ্নের সন্তোষজনক জবাব তিনি দিতে পারেননি।

তিনি আরও বলেন, নরেন্দ্র মোদি যখন বললেন তার চিন্তা ও শেখ হাসিনার চিন্তা এক ও অভিন্ন, তখনই বিএনপি নেত্রী বুঝতে পারলেন তিনি ও তার দলের গ্রহণযোগ্যতা ভারত কেন, গোটা বিশ্বের কাছেই নেই। এরপর থেকে তারা আবার ভারতবিরোধী বক্তব্য শুরু করেছেন।

আওয়ামী লীগের এ নেতা এসময় বলেন, বিএনপির রাজনীতি হলো ভারত বিরোধিতা ও বিদ্বেষ ছড়ানো।

দেশের মানুষের জন্য খালেদা জিয়া ‘হুমকি’ মন্তব্য করে সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, এর আগেরবার যখন ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি এসেছিলেন, সেদিন বিএনপির সমর্থনে জামায়াত হরতাল দিয়েছিলো। এমনকি খালেদা জিয়া প্রণব মুখার্জির সঙ্গে সাক্ষাতের সময়সূচি নিয়েও দেখা করেননি। আর এতোদিন পরে তিনি বলছেন, তার জীবনের উপরে থাকায় তিনি দেখা করতে যাননি। প্রকৃতপক্ষে খালেদা জিয়াই জনগণের জীবনের উপরে হুমকিস্বরূপ আবির্ভূত হয়েছেন।

ওলামা লীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন হেলালীর সভাপতিত্বে ওই অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, এমএ করিম, হেদায়েতুল ইসলাম স্বপ্ন, হাসিবুর রহমান মানিক প্রমুখ।