বিডি ল নিউজঃ
উচ্চ আদালতের নির্দেশ না মেনে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার দিয়ে যাতায়াতকারী যানবাহনের কাছ থেকে এখনো বাড়তি টোল আদায় করা হচ্ছে। তাই যানবাহন চালক ও মালিক সমিতিগুলোর মধ্যে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে। মাঝে মধ্যেই অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটছে। বলা বাহুল্য, অতিরিক্ত টোল আদায় করা হচ্ছে ঢাকা সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যোগসাজশে। তবে টোল আদায়কারীদের দাবী, লিখিত নির্দেশ না আসায় তারা আগের মতো অতিরিক্ত টোল আদায় করছেন। বিশেষ একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে একথা বলা হয়। এ বছরের ১১ অক্টোবর হানিফ ফ্লাইওভার জনগণের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। তখনই সরকারিভাবে যানবাহন ভেদে টোলের হার নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। কিন্তু তা মানা হচ্ছে না। এ ব্যাপারে একটি রিট করা হলে ১৭ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল জারি করে। এতে বলা হয়, মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার ব্যবহারকারী যানবাহনের কাছ থেকে ‘অতিরিক্ত’ টোল আদায় কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না— তা জানতে চায় হাইকোর্ট। টোল আদায়কারীরা মোটরসাইকেল প্রতি ৫ টাকার বদলে ১০ টাকা, অটোরিকশা ১০ টাকার বদলে ১৮ টাকা, কার ৩৫ টাকার পরিবর্তে ৬০ টাকা, জিপ ৪০ টাকার পরিবর্তে ৭০ টাকা, মাইক্রোবাস ৫০ টাকার পরিবর্তে ৮৫ টাকা, পিকআপ ৭৫ টাকার পরিবর্তে ১৩০ টাকা, বড় বাস ১০০ টাকার পরিবর্তে ২৬০ টাকা, ছোট ট্রাক/ মিনিবাস ১০০ টাকার পরিবর্তে ১৭৩ টাকা, বড় ট্রাক ১৫০ টাকার পরিবর্তে ২৬০ টাকা এবং ৬ চাকার ট্রাকের কাছ থেকে ২০০ টাকার পরিবর্তে ৩৪৫ টাকা আদায় করা হচ্ছে। ফ্লাইওভার ব্যবহারকারীদের সঙ্গে কথা বলেও এমন তথ্যের সত্যতা মিলেছে। গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়, ফ্লাইওভার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে অতিরিক্ত টোল আদায় করা হচ্ছে। এদিকে বাড়তি টোলের কথা বলে যানবাহন চালকরা যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া নিচ্ছেন। এ নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে চালকদের প্রায়ই ঝগড়া লাগছে।
Discussion about this post