ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে শুক্রবার রাত ১ টার দিকে স্বামীকে বেঁধে নববধূকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষণের সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে দুই বালু শ্রমিককে আজ (৭ এপ্রিল) শনিবার দুপুরে পুলিশ আটক করেছে।
নির্যাতিত ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, ভালুকার একটি টেক্সটাইল মিলে চাকুরির সুবাদে জামাল পুরের এক মেয়ের সাথে উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের মরিচারচর গ্রামের এক যুবকের সাথে পরিচয় হয়। গত দুই মাসে পূর্বে উভয়ের পারিবারিক সম্মতিতে বিয়ে করেন তারা।
টেক্সটাইল মিলের ছুটির সুবাদে বাবার বাড়ি থেকে বেড়িয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বামীর বাড়িতে ফেরেন নববধূ। কিন্তু গভীর রাতে উচালিখার মরিচারচর নামাপাড়া গ্রামের আল আমিন, রতন মিয়া, আবুল বাশার ওরফে বাদশাসহ অন্তত ৭ ব্যক্তি স্বামীকে বেঁধে রেখে তুলে নিয়ে যায় নববধূকে। ব্রহ্মপুত্র নদের বালু চরে নিয়ে চালানো হয় পাশবিক নির্যাতন।
নির্যাতিতার স্বামী জানায়, শুক্রবার রাত ১ টার দিকে হঠাৎ তাদের দরজায় এসে ডাকাডাকি করে প্রতিবেশী আল আমিন সহ কয়েকজন। দরজা খুলতেই তিন জন তাকে ধরে বাড়ির কাছে একটি স্থানে নিয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফলে। অন্যরা তার স্ত্রীকে তুলে নিয়ে যায়।
নির্যাতিতা নববধূ জানিয়েছেন, চার ব্যক্তি তার মুখ বেঁধে বাড়ি থেকে পাশের ব্রহ্মপুত্র নদের বালু চরে নিয়ে যায়। সেখানে তার ওপর পর্যায় ক্রমে পাষান্ডরা পাশবিকতা চালায়। এক পর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়লে বাড়ির পাশে একটি জঙ্গলের কাছে তাকে ফেলে রেখে চলে যায়। তার মুখে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে টর্চলাইট দিয়ে আঘাত করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
এদিকে নববধূকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের খবর পেয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার একদল পুলিশ শনিবার সকালে এলাকায় অভিযান শুরু করে। উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয় নির্যাতনের শিকার নববধূকে। আটক করা হয় আবুল বাশার ওরফে বাদশা মিয়া ও রতন মিয়া নামের দুই বালূ শ্রমিককে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মো. গোলাম মাওলা বলেন, এক নারীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় ৭ জনকে আসমি করে মামলা হয়েছে। দুই অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত আছে।
একে




Discussion about this post