এ বিষয়ে মুন্নার ছোট বোন বলেন, গত ১৪ আগস্ট শুক্রবার দুপুরে মায়ের মোবাইলে কল আসে। এ সময় ভাইজান বলেন, মা দোয়া করবেন, সবাইকে দোয়া করতে বলবেন, আমি সাগর পাড়ে আছি। দালালের মাধ্যমে ইঞ্জিনচালিত নৌকাযোগে লিবিয়া থেকে ইতালি যাচ্ছি। এরপর থেকে মুন্না ভাইয়ের সঙ্গে আমাদের আর যোগাযোগ হয়নি।
মুন্না, সাগরে ডুবে মারা গেছেন দালালের মাধ্যমে এ খবর জানতে পারলেও এখনো আশায় বুক বেঁধে আছে তার পরিবার।
নিখোঁজ ফখরুল ইসলাম মুন্না নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার চাষীরহাট ইউনিয়নের কাবিলপুর গ্রামের আমিন উদ্দিন বাড়ির মৃত রফিক উল্লার ছেলে। ৩ ভাই ও ৩ বোনের মধ্যে দ্বিতীয় মুন্না।
মুন্নার বোন জানান, পরিবারের স্বচ্ছলতা আনতে চলতি বছরের ৪ এপ্রিল বাংলাদেশ থেকে লিবিয়া যান মুন্না। এরপর থেকে তিনি লিবিয়ায় একটি দোকানে চাকরি করতেন।
সুরমা আরো জানান, গত ১৮ আগস্ট মঙ্গলবার রাতে তার চাচাতো ভাই স্পেন প্রবাসী মামুন তার মায়ের মোবাইলে কল দিয়ে জানান, ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে নৌকার ইঞ্জিন বিকল হয়ে মুন্নাসহ ৩১২ জন যাত্রী নিয়ে তাদের নৌকা ডুবে গেছে বলে দালাল তাকে জানান। যার মধ্যে তার ভাই মুন্নাসহ ৫০ যাত্রী সাগরে ডুবে মারা গেছেন। তবে তার ভাই মুন্নার মরদেহের কোনো তথ্য দিতে পারেনি দালাল।
এদিকে মুন্নার সঠিক কোনো খবর না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তার মা, ভাই-বোনসহ পরিবারের লোকজন। ছেলেকে ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায় আশায় বুক বেঁধেছেন তার মা জাহেদা খাতুন।
চাষীরহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হানিফ মুন্নার নিখোঁজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।




Discussion about this post