ডেস্ক রিপোর্ট
রাজধানীর দক্ষিণখানের আইনুসবাগে রড-সিমেন্ট ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদকে (৩৯) গুলি করে হত্যা মামলায় আমিনুল ইসলাম হান্নান ওরফে জাপানি হান্নানসহ আটজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এর মধ্যে জাপানি হান্নানকে চারদিনের এবং বাকি সাতজনের দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
রিমান্ডকৃত অপর সাতজন হলেন- জাপানি হান্নানের ছেলে ইকরামুল ইসলাম, হান্নানের ভাই শফিকুল ইসলাম, তাদের সহযোগী আল আমীন প্রধান, জহুরুল ইসলাম রিপন, খোরশেদ আলম, মোশারফ হোসেন ও নুরুন নবী।
বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এসময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিনখান থানার এসআই আজহারুল ইসলাম। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদ জাপানি হান্নানের চারদিনের এবং বাকি সাতজনের দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অপরদিকে অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় জাপানি হান্নানের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত বুধবার (২৪ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দক্ষিণখানের আইনুসবাগ (চাঁদনগর) এলাকায় বালি ফেলাকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্য দিবালোকে আব্দুর রশিদকে গুলি করে হত্যা করেন জাপানি হান্নান। এতে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে হান্নানের গাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়।
এরপর হান্নানের বাড়ি জাপানি কটেজ থেকে অস্ত্রসহ হান্নানকে গ্রেফতার করে দক্ষিণখান থানা পুলিশ। পরে ওই এলাকা থেকে হান্নানের আরও এক সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়।
নিহত আব্দুর রশিদ রাজধানীর আশকোনার পানির পাম্পের পাশে ৪৩৪ নম্বর নিজ বাড়িতে থাকতেন। আগে তিনি গার্মেন্টস এক্সেসরিজের কারখানা পরিচালনা করতেন। সেটি বন্ধ করে তিনি বর্তমানে তার বাড়ি ও মার্কেট দেখাশোনা করছিলেন।
ঘটনার দিন বুধবার রাতেই ভুক্তভোগীর পরিবার বাদী হয়ে জাপানি হান্নানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দক্ষিনখান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এরপর ঘটনাস্থল থেকে জাপানি হান্নানসহ তার ৮ সহযোগীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত হান্নানের আরও কয়েকজন সহযোগী পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Discussion about this post