ডেস্ক রিপোর্ট
রাজধানীর পল্লবী এলাকায় সন্তানের সামনে শাহীন উদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা মামলার আসামি বাবু ওরফে কালা বাবু ওরফে কালু ওরফে শেখ রাসেল হোসেনকে (২৬) কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৩১ মে) তিনদিনের রিমান্ডে শেষে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পু্লিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে পুলিশ। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ মে) তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার হোসেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মঈনুল ইসলাম তার তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ১৬ মে পল্লবীর ১২ নম্বর সেকশনের ৩১ নম্বর রোডে সাত বছরের সন্তানের সামনে শাহীন উদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহতের মা আকলিমা বেগম বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়ালসহ ২০ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন।

ঘটনার পরদিন পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করে। এরপর গত ২০ মে এ ঘটনায় এম এ আউয়ালকে গ্রেফতার করে র্যাব। চারদিনের রিমান্ড শেষে তিনি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ মে বিকেল ৪টায় সুমন ও টিটু নামে দুই যুবক শাহীন উদ্দিনকে জমির বিরোধ মেটানোর কথা বলে ফোন করে ডেকে নেন। শাহীন মোটরসাইকেলে পল্লবীর ডি-ব্লকের ৩১ নম্বর সড়কের ৪০ নম্বর বাসার সামনে পৌঁছালে সুমন ও টিটুসহ ১৪-১৫ জন মিলে তাকে টেনে-হিঁচড়ে ওই বাড়ির গ্যারেজে নিয়ে যান।
এ সময় শাহীনের ছেলে মাশরাফি গেটের বাইরে ছিল। গ্যারেজে ঢুকিয়ে শাহীনকে চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল, রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন তারা। এরপর তাকে ওই বাড়ি থেকে বের করে ৩৬ নম্বর বাড়ির সামনে ফের কুপিয়ে সেখানে ফেলে রেখে চলে যান।
নিহতের মা আকলিমা বেগমের অভিযোগ, পল্লবীর সেকশন-১২ বুড়িরটেকের আলীনগর আবাসিক এলাকার হ্যাভেলি প্রোপার্টিজ ডেভেলপার লিমিটেডের এমডি এবং এম এ আউয়ালের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভাড়া করা স্থানীয় সন্ত্রাসীরা শাহীনকে হত্যা করে। আনুমানিক পাঁচ কোটি টাকা মূল্যের ১০ একর জমি জবর দখলে বাধা দেয়ায় খুন হতে হয় তাকে।
Discussion about this post