ডেস্ক রিপোর্ট
রাজধানীর বাড্ডায় নিজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় বাবা কামাল হোসেনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে তাকে।
মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহার এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ৮-৯ বছর আগে ভুক্তভোগীর বাবা-মায়ের ডিভোর্স হয়। এরপর ভুক্তভোগী তার দাদির কাছে থাকত। ডিভোর্সের পর লিপি বেগম নামে আরেকজনকে বিয়ে করেন আসামি। ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে ভুক্তভোগীকে তার বাবা রূপনগর আবাসিক এলাকার বস্তিতে নিয়ে যান।

এ নিয়ে তার সৎমায়ের সঙ্গে বাবার ঝগড়া হয়। পরে একই বছরের ২ মে ভুক্তভোগীকে নিয়ে তার বাবা বাড্ডার আব্দুল্লাহবাগ এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নেন। ওই বছরের ৪ ও ৫ মে আসামি কামাল হোসেন ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় মামলা করেন।
গত বছরের ১২ অক্টোবর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাড্ডা থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) আল-ইমরান আহম্মেদ আসামি কামাল হোসেনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলায় আটজন সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ছয়জন সাক্ষ্য দেন।
মামলার পর কামাল হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৬ মে আদালত তার দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে ৯ মে কামাল হোসেন ধর্ষণের দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
Discussion about this post