বরগুনা প্রতিনিধি: বরগুনায় আলোচিত রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যায় ব্যবহৃত একটি রামদা উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বরগুনার সরকারি কলেজ ক্যান্টিনের পূর্ব পাশের ডোবা থেকে রামদাটি উদ্ধার করা হয়। এই রামদাটি দিয়েই রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে কোপানো হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বরগুনা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন, সকালে রিফাত ফরাজিকে সঙ্গে নিয়ে তার দেখানো ডোবা থেকে রামদাটি উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিকে, বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আরিয়ান শ্রাবন নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিফাত শরীফ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) হুমায়ুন কবির।
তবে তদন্তের স্বার্থে শ্রাবনকে কখন ও কোথা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা জানায়নি পুলিশ। আরিয়ান শ্রাবন বরগুনা শহরের গোলাম সরোয়ার সড়কের ইউনুস সোহাগের ছেলে।
এ বিষয়ে ওসি (তদন্ত) হুমায়ুন কবির বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আরিয়ান শ্রাবনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আজ তাকে আদালতে তোলা হতে পারে।
এর আগে গত ১ জুলাই (সোমবার) আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ১১ নম্বর আসামি মো. অলিউল্লাহ অলি ও ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা তানভীর একই আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এরপর গত ৪ জুলাই (বৃহস্পতিবার) রিফাত হত্যা মামলার ৪ নম্বর আসামি চন্দন ও ৯ নম্বর আসামি মো. হাসানও একই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ৫ জুলাই (শুক্রবার) একই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের ফুটেজ দেখে শনাক্ত হওয়া ও তদন্তে বেরিয়ে আসা অভিযুক্ত মো. সাগর ও নাজমুল হাসান।
এছাড়াও এ মামলার দ্বিতীয় আসামি রিফাত ফরাজি সাতদিনের এবং ১২ নম্বর আসামি টিকটক হৃদয়সহ সন্দেহভাজন অভিযুক্ত সাইমুন ও রাফিউল ইসলাম রাব্বি পাঁচদিনের রিমান্ডে রয়েছেন।




Discussion about this post