নিজস্ব প্রতিবেদক: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্রিনসিটি প্রকল্পে সরকারি জিনিসপত্র কেনাকাটায় দুর্নীতি বিষয়ে তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করতে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে দুই সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে, রুল জারি করেছেন আদালত। রুলে সরকারি জিনিসপত্র কেনাকাটায় স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সরওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে ১৯ মে রবিবার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্রিনসিটি আবাসন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন। রিট দাখিলের পর তিনি বলেন, ‘পত্রপত্রিকায় আমরা দেখেছি, বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের কেনাকাটায় অস্বাভাবিক মূল্য ধরা হয়েছে। সে বিষয়ে এরই মধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। সেই কমিটির প্রতি জনগণের আস্থা নেই। তাই আমরা বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়েছি।’
সৈয়দ সাইয়েদুল হক বলেন, ‘প্রত্যেক কাজের একটা জবাবদিহিতা থাকা দরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও দুর্নীতির বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছেন। তাছাড়া এই প্রকল্পে যে টাকা খরচ দেখানো হয়েছে তা এ দেশের জনগণের ট্যাক্সের টাকা। তাই বিষয়টি জবাবদিহিতায় আসা উচিত।’
রিটে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সচিব, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সচিবসহ ৬ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের গ্রিনসিটি প্রকল্পের ১১০ ফ্ল্যাটের জন্য অস্বাভাবিক মূল্যে আসবাবপত্র কেনা এবং ভবনে উঠানোর বাবাদ খরচ ধরার ঘটনা অনুসন্ধানে নামছে দুদক। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে এ ঘটনা তদন্তের জন্য গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলীকে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের তদন্তে দুর্নীতি প্রমাণিত হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তদন্ত প্রতিবেদন দুদককে দেওয়া হবে। দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের গ্রিনসিটি প্রকল্পে ২০ ও ১৬ তলা ভবনের ১১০টি ফ্ল্যাটের আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনা এবং ভবনে উঠানোর কাজে অস্বাভাবিক ব্যয় নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
Discussion about this post