নিজস্ব প্রতিবেদক: সদরঘাটসহ বন্দর এলাকায় টার্মিনালে যাত্রীদের প্রবেশ ফি আরোপ করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। আগামী তিন সপ্তাহের জন্য রুল জারি করে উচ্চ আদালত।
রবিবার (০৩ নভেম্বর) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়ে আবেদনের পক্ষে শুনানি করা আইনজীবী আবু তালেব জানান, এর আগে গত ২৬ অক্টোবর সদরঘাটসহ বন্দর এলাকায় টার্মিনালে প্রবেশের ফি পাঁচ টাকা ও ১০ টাকা নির্ধারণ করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের দাপ্তরিক আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়।
আইনজীবী আবু তালেব জানান, চলতি বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের সচিব কাজী ওয়াকিল নওয়াজ স্বাক্ষরিত এক দাপ্তরিক আদেশের ‘বন্দর এলাকায় আদায়যোগ্য শুল্ক (টার্মিনাল প্রবেশ ফি)’ শীর্ষক কলামে বলা হয়, বরিশাল, চাঁদপুর, খুলনা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, পটুয়াখালী, বরগুনা ও ভোলা নদীবন্দরে টার্মিনাল ভবনে প্রবেশের জন্য মাথাপিছু প্রতিবার (প্রবেশ ফি আট টাকা ও যাত্রীকল্যাণ তহবিল দুই টাকা) ১০ টাকা।
আরিচা, শিমুলিয়া, আশুগঞ্জ-ভৈরববাজার, দৌলতদিয়া, নগরবাড়ী, কাজীরহাট, নরাদহ, টঙ্গী, কক্সবাজার, চরজানাজাত, মেঘনাঘাট, মীরকাদিম, ছাতক, ঘোড়াশাল, ফরিদপুর, চিলমারী ও অন্যান্য নদীবন্দরে (ভবন ব্যতীত বা আধাপাকা টিনশেড ভবনের টার্মিনাল টিকেট) টার্মিনাল প্রবেশের জন্য মাথাপিছু প্রতিবার পাঁচ টাকা।
তিনি আরও বলেন, ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট অথরিটি অর্ডিন্যান্স,১৯৫৮ এর ১৯(২)(cc)অনুসারে অর্থমন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে বিআইডব্লিউটিএ এই ফি নির্ধারণ করতে পারে না। এটা সংবিধানের ৮৩ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সংবিধানের ৮৩ অনুচ্ছেদ অনুসারে ‘সংসদের কোন আইনের দ্বারা বা কর্তৃত্ব ব্যতীত কোন কর আরোপ বা সংগ্রহ করা যাইবে না।’ তাই এটা বাতিল চাওয়া হয়েছে। এছাড়া ১৫ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করা ফি অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করার জন্য রুল জারির আবেদন করা হয়েছে।
আবেদনে নৌসচিব, আইন সচিব, অর্থ সচিব, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান, সচিব, পরিচালক (অর্থ), যুগ্ম পরিচালক, উপ পরিচালক (বন্দর) ও ঢাকা নদীবন্দরের (সদরঘাট) যুগ্ম পরিচালককে বিবাদী করা হয়।
Discussion about this post