বিডি ল নিউজঃ
টানা অবরোধের ও হরতালের কারণে নারায়ণগঞ্জের নিট গার্মেন্টগুলোতে শত শত কোটি টাকার তৈরি পোষাক শিপমেন্টর জন্য গোডাইনে স্তুপ হয়ে পড়ে আছে। রাস্তায় জ্বালাও পোড়াওয়ের কারণে কেউ ঝুঁকি নিয়ে মালামাল চট্টগ্রাম বন্দরে পাঠাতে পারছে না। এতে করে ব্যবসায়ীদের কোটি কোটি টাকা লোকসানগুণতে হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, তাদের কাছে সবচেয়ে বড় দু:চিন্তা রাজনৈতিক সংকট। দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখার জন্য দেশের মানুষকে সচেতন হওয়ার আহবান জানান ব্যবসায়ী নেতারা।
ফতুল্লার বিসিক শিল্পনগরী ঘুরে দেখা যায়, বিসিক শিল্পনগরীর সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টরি ফকির অ্যাপারেলস। এ ফ্যাক্টরির প্রায় ২০ হাজারের বেশি শ্রমিক কাজ করে। ফ্যাক্টরিতে উৎপাদন অব্যাহত থাকলেও তৈরি পোষাক শিপমেন্টের জন্য শত শত কার্টুন গোডাউনে পড়ে আছে। ফলে এখন আর গোডাইনে কাটুন রাখার জায়াগা নেই।
ফকির অ্যাপারেলস জেনারেল ম্যানেজার মো. জাকির হোসেন জানান, অবরোধের মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে দু একটি শিপমেন্ট করলেও পরিবহণ খরচ দ্বিগুণ তিনগুণ বেড়ে গেছে। শিপমেন্ট করেও আছেন নানা দুঃচিন্তায়। সঠিক সময়ে মাল ডেলিভারী দেয়ার জন্য একাধিক ইমেল পাঠিয়ে চাপ দিচ্ছে বায়রারা। ফলে জাহাজিকরণের জন্য মাল ডেলিভারী দিতে না পারলে বাই এয়ারে মাল পাঠাতে হবে। এতে করে মোটা অঙ্কের টাকা লোকসানগুণতে হবে ফ্যাক্টরিগুলোকে। ফলে আগামী দিনে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প হুকির মুখে পড়বে।
বাংলাদেশ নিট ওয়ার ম্যানুফ্যাচারাস এন্ড এক্সপোটার্স এ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) সভাপতি সেলিম ওসমান জানান, হরতাল অবরোধের কারণে ব্যক্তিগত ক্ষতির চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে রাষ্ট্র। বাংলাদেশের সবচেয় বড় বাজার হচ্ছে ইউরোপ। কিন্তু ডিজিটাল যুগের কারণে আমাদের দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার খবর আমাদের আগে বায়রারা জেনে যায়। দেশ অস্থিতিশীল থাকলে কোন দেশই বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট করতে চাইবে না।
দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে হরতাল অবরোধের বিকল্প কর্মসূচি দেয়ার দাবি ব্যবসায়ী নেতাদের । এজন্য সরকারি দল ও বিরোধী দলকে রাজনেতিক সহশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য অনুরোধ করছেন ব্যবসায়ীরা। রাজপথে জ্বালাও পোড়াও নয় আলোচনার মাধ্যমে সমাধান চায় তারা।
Discussion about this post