শ্রেণিকক্ষে ঢুকে লোহার খন্তা দিয়ে পিটিয়ে এক শিক্ষিকার হাত-পা ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার আহসান উল্লাহ টুটুল (৩০) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সকালে পটিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহিতুল ইসলামের আদালতে টুটুল এ স্বীকারোক্তি দেন।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আহসান উল্লাহ টুটুলকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল পুলিশ। তবে এসময় সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করেননি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পটিয়া থানার এসআই মো. কামাল হোসেন বলেন, শিক্ষিকা মিসফা সুলতানাকে শ্রেণিকক্ষে ঢুকে খন্তা দিয়ে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার টুটুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন জানিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু টুটুল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ায় আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করেননি। পরবর্তীতে দণ্ডবিধির ১৬৬ ধারা অনুযায়ী আবারও রিমান্ড আবেদন জানানো হয়। আদালত তাকে আরও ৩ ঘন্টার সময় দিয়েছেন এবং আদালত চলমান রয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সকালে পটিয়ার দক্ষিণ ভূর্ষি ইউনিয়নের পূর্ব ডেঙ্গামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মিসফা সুলতানার (২৫) ওপর হামলা চালায় বখাটে টুটুল। এতে ওই শিক্ষিকার দুই হাত এবং বাম পা ভেঙে যায়।
পরে পটিয়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওইদিন বেলা ১২টার দিকে টুটুলকে গ্রেফতার করে। আটক টুটুল একই এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
আহত শিক্ষিকাকে হত্যারচেষ্টার অভিযোগে তার বাবা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুর মোহাম্মদ বাদি হয়ে থানায় মঙ্গলবার রাতেই আহসান উল্লাহ টুটুলের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩২৩, ৩২৫, ৩০৭, ৩৫৪ ও ৫০৬ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে চমেক হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে মিসফা সুলতানা চিকিৎসাধীন আছেন।
Discussion about this post