সাইফুল,পটিয়া প্রতিবেদকঃ পটিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার শিল্প কারখানায় গভীর নলকূপ বসিয়ে পানি উত্তোলনের ফলে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় উপজেলার ১৫ ইউনিয়নের মধ্যে প্রায় ১২ শতাধিক নলকুপে পানি উঠছে না। ফলে গ্রীষ্মের প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যে সাধারণ জনগণকে পানীয় জলের দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এলাকাবাসী এই পানীয় জলের সংকট দূর করতে উপজেলা প্রসাশনসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন। এলাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রিজেন্ট স্পেনিং মিল,ফোর এইচ গ্রুপ, এনার্জি পেক, মোস্তাফা সল্ট এন্ড পেপার মিলস্, হক্কানী গ্রুপ,জেরিন পেপার মিল, বনফুল এন্ড কোম্পানী,ফুলকলি, শাহ আমনত নিটিং এন্ড ডাইয়িং পটিয়া জমিরিয়া মাদ্রাসা, ইফা ড্রিনকিং ওয়াটার সাপ্লাই সহ আরো বিভিন্ন শিল্প কারখানাগুলোতে ৬/৭ ফুট ব্যাসের নলকূপ বসিয়ে মাটির নিচের পানি উত্তোলন করে বিভিন্ন ব্যবসা বাণিজ্য চালিয়ে চাচ্ছে। ফলে উপজেলার কোলাঁগাও,জিরি, কুসুমপুরা,আশিয়া, কাশিয়াইস,হাবিলাসদ্বীপ, বড়লিয়া,জঙ্গলখাইন,ধলঘাট, কেলিশহর, হাইঁদগাও, কচুয়াই,খরনা,দক্ষিণভূর্ষি, ভাটিখাইন সহ ইউনিয়নগুলোতে নলকূপের পানি উঠছে না। বর্তমানে ১০/১৫ থেকে ফুট পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় পানি পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে বিভিন্ন এলাকায় পানিয় জলের তিব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বিকল্প হিসাবে অনেক জায়গায় কমপ্রেসার মেশিন দিয়ে পানি উত্তোলন করছে। অনেক এলাকায় এব্যবস্থা না থাকায় নলকূপগুলো অকেজো অবস্থায় রয়েছে। এ ব্যাপারে জঙ্গলখাইন ইউপি চেয়ারম্যান শাহদাৎ হোসেন ফরিদ জানান, এলাকার কিছু শিল্প কারখানার মালিকরা ব্যবসায়িক ভিত্তিতে গভীর নলকূপ বসিয়ে পানি উত্তোলন করার ফলে এলাকার নলকূপগুলোতে পানি উঠছে না। এব্যাপারে উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় অনেক বলার পরও কোনো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এ ব্যপারে ইউ পি চেয়াম্যানগণ গভীর নলকূপ বসিয়ে পানি উত্তোলন বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন। তাছাড়া এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে এলাকায় প্রতিবাদ সভাসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে স্বারকলিপি প্রদান করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকেয়া পারভীন জানান, মিল কারখানাগুলোতে গভীর নলকূপ না বসিয়ে ঝড় বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করা এবং নদীর পানি পরিশোধন প্ল্যান্ট বসিয়ে পানির পরিশোধন করে ব্যবহার করার জন্য বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে বিশেষ পরিবেশ অধিদপ্তরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু তারা কোনো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি। এ ব্যাপারে পটিয়া উপজেলার চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ চৌধুরী সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, উপজেলার বিভিন্ন শিল্প কারখানা গুলোতে ৬/৭ ফুট ব্যাসের পাইপ বসিয়ে পানি উত্তোলনের ফলে এলাকার নলকূপ গুলোতে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় পানি উঠছে না। এতে এলাকার প্রায় ১৫ শত নলকূপে পানি উঠছে না বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে শিল্প কারখানা গুলোতে খাল, নদীর পানি পরিশোধন প্ল্যান্ট স্থাপন করে পানি ব্যবহারের জন্য বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তরকেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তরও অনেক কারখানাতে পরিবেশ ছাড়পত্র দিয়ে অনুমতি দিয়েছে। তাছাড়া স্থানীয় এমপি সামশুল হক চৌধুরী এই পানি সংকট দূর করতে প্রায় ৫ শতাধিক গভীর নলকূপ স্থাপন করে। এবং কয়েক মিল থেকে টাকা নিয়ে কমপ্রেসার মেশিন কিনে দিয়ে কিছু কিছু এলাকায় পানি উত্তোলনের ব্যবস্থা করেন বলে জানান। এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর আরো তৎপর হলে এ সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তর অফিসে বেশ কয়েকবার ফোন করে তাদেরকে পাওয়া যায়নি।




Discussion about this post