বিডি ল নিউজঃগত ১৪ মে মোহাম্মদপুরের সাত মসজিদ হাউজিংয়ের ৫ নম্বর সড়কের ২৮ নম্বর বাড়ির পানির ট্যাঙ্ক থেকে নাসিমা আক্তার মুক্তার (০৬) লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের বাবা পেশায় রং মিস্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান সেই দিন দুপুরে মোহাম্মদপুর থানায় হাজেরা বেগম নামের এক নারীকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তার আল আমিন (২০) প্রতিবেশী ছয় বছরের ওই শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার কথা ‘স্বীকার’ করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন বলে মোহাম্মদপুর থানার এসআই কমল কৃষ্ণ সাহা জানান।
বাড়ির ছাদে কাপড় শুকাতে দেওয়া নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মোস্তাফিজুর।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কমল কৃষ্ণ সাহা সাংবাদিকদের বলেন, শিশুটি তার বাবা-মা ও ছোট বোনের সঙ্গে যে এলাকায় থাকতো সেখানে একটি দীর্ঘ ফ্লোরে অনেকগুলো ঘর। স্বল্প আয়ের প্রায় শতাধিক মানুষ ছোট ছোট ঘর ভাড়া করে সেখানে থাকেন। সেখানকার বাসিন্দাদের অধিকাংশই পরস্পরের পরিচিত।
“বাড়ির নিচতলার একটি টয়লেটের পেছনে শিশুটির এক জোড়া জুতো পাওয়া যায়। এরপরই নিশ্চিত হই, শিশুটিকে ওই বাড়িতেই হত্যা করা হয়েছে,” বলেন তদন্ত কর্মকর্তা কমল।
পরে সেখানকার বাসিন্দাদের কয়েকজন জানান, যে দিন শিশুটির লাশ পাওয়া গেছে সেদিন টয়লেটের পাশে আল আমিন নামের সেখানকার এক বাসিন্দাকে দেখেছিলেন তারা।
যে টয়লেটের পেছনে শিশুটির জুতো পাওয়া গিয়েছিল সেটি আল আমিন ও তার পরিবারের সদস্যরাই ব্যবহার করেন বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা কমল।
তিনি জানান, আল আমিনের বাবা কালাম মিয়া এক সময় ওই বাড়ির ‘ম্যানেজার’র দায়িত্ব পালন করতেন। তার মৃত্যুর পর আল আমিন ও তার মা মর্জিনা বেগম সেখানে থাকতে শুরু করেন।
পরে আল আমিনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার কথা স্বীকার করে বলে জানান তিনি।
“এক পর্যায়ে আল আমিন স্বীকার করে, সে প্রথমে শিশু মুক্তাকে ধর্ষণ করেছিল। এরপর মুক্তা গুরুতর অসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। কিছুক্ষণের মধ্যে শিশুটির নড়াচড়া দেখে সবাই ঘটনা জেনে ফেলতে পারে ভয়ে টয়লেটের পাশে ভাঙা টাইলসের টুকরা দিয়ে গলাকেটে তাকে হত্যা করে আল আমিন,” বলেন এসআই কমল কৃষ্ণ সাহা।
পরে আল আমিন এ ঘটনায় ‘দোষ স্বীকার’ করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
Discussion about this post