নিজস্ব প্রতিবেদক: পাবনার ঈশ্বরদীতে ২৫ বছর আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে হামলা মামলায় বিএনপির ৩০ নেতাকর্মীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার দুপুরে পাবনার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-১ এ উপস্থিত বিএনপির ৩০ নেতাকর্মীসহ মামলার সকল আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক রুস্তম আলী। এ মামলায় মোট আসামি ছিলেন ৫২ জন। বাকিদের নামে ওয়ারেন্ট জারি করেছেন আদালত।
চাঞ্চল্যকর এই মামলার প্রধান আসামি ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টু এবং অন্যতম আসামি পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক মেয়র মকলেছুর রহমান বাবলু এবং বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবীর দুলাল আদালতে হাজির না থাকায় তাদের বিরদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
আদালত সূত্র জানিয়েছে, পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রোস্তম আলীর উপস্থিতিতে সোমবার সকাল ১০টায় এই মামলায় যুক্তিতর্ক শুরু হবে।
আদালত সূত্র থেকে জানা যায়, ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা সাংগঠনিক সফরে খুলনা থেকে রাজশাহী অভিমুখে ট্রেনযোগে বের হন। দলীয় সূত্র জানায়, পথিমধ্যে তিনি বিভিন্ন স্থানে পথসভা করেন। ঈশ্বরদী স্টেশনে তার একটি নির্ধারিত পথসভা ছিল। তাকে বহনকারী ট্রেনটি পাকশী স্টেশনে পৌঁছার পরপরই ওই ট্রেনে ব্যাপক গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলা চালানো হয়।
এ ঘটনায় ঈশ্বরদী জিআরপি থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বাদি হয়ে ওইদিনই একটি মামলা দায়ের করেন। ৩ বছর পর ১৯৯৭ সালে ৩ এপ্রিল পুলিশ মোট ৫২ জনের নামে এ মামলার চার্জশিট দাখিল করে।
পাবনা জজকোর্টের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ওবায়দুল হক জানান, মামলার ৫২ জন আসামির মধ্যে ৩০ জন স্বশরীরে এজলাসে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন। বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করেন। আগামীকাল সোমবার একই আদালতে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করার কথা রয়েছে। পরে আসামিদের পাবনা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
আসামিরা ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে। ৫২ আসামির মধ্যে ৬ জন মারা গেছেন। মামলার রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবি ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আক্তারুজ্জামান মুক্তা ও অ্যাডভোকেট সালমা আহমেদ শিলু। আসামি পক্ষে আইনজীবি ছিলেন অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম গ্যাদা।
Discussion about this post