বিডি ল নিউজঃ
চাকরির লোভ দেখিয়ে রাজধানীর দক্ষিণ বনশ্রীতে নয় দিন আটকে রেখে দুই তরুণীর ওপর চালানো হয়েছিল পাশবিক নির্যাতন। বাধ্য করা হয়েছিল পতিতাবৃত্তিতে। সোমবার রাতে এমন খবর পেয়ে খিলগাঁও থানা পুলিশ স্থানীয় শ্রমিক লীগের এক নেতার টর্চার সেল থেকে ওই দুই তরুণীকে উদ্ধার করে। গ্রেফতার করা হয় ওই ঘটনার মূল হোতা কথিত শ্রমিক লীগ নেতা সোলায়মান ওরফে খোকনকে। তবে ঘটনার চার দিন পার হলেও ধরা পড়েনি তার সাঙ্গপাঙ্গরা।
শ্রমিক লীগ নেতার জিম্মিদশা থেকে মুক্ত তরুণীদের মধ্যে একজন জানান, তিনি পরিবারের সঙ্গে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর তালতলা বস্তিতে থাকেন।
তিনি বিভিন্ন বাসাবাড়িতে ছুটা বুয়ার কাজ করেন। ১ নভেম্বর সকালে তালতলা বস্তিতে এক নারী ও এক পুরুষের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তারা খিলগাঁওয়ের একটি বাড়িতে মাসে চার হাজার টাকা বেতনে স্থায়ী কাজের লোকের কথা বললে তিনি রাজি হন। তিনি তাদের সঙ্গে রামপুরা বনশ্রীর ১২২ নম্বর বাসায় ওঠেন।
তরুণী জানান, প্রথম দিন থেকেই মুখ বেঁধে তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালানো শুরু হয়। কান্নাকাটি, এমনকি চিৎকার করলে জবাই করার ভয় দেখানো হতো।
একপর্যায়ে আমি বুঝতে পারি, দেহব্যবসার জন্যই ফাঁদ পাতা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোলায়মান ওরফে খোকন জাতীয় শ্রমিক লীগ খিলগাঁও থানার কার্যকরী অর্থবিষয়ক সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে এর আগেও এ ধরনের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। খিলগাঁও থানা শ্রমিক লীগ সভাপতি বাবুল বলেন, সোলায়মানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংগঠনের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Discussion about this post