গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ১৩ অক্টোবর ২০২০ একটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়। এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন করা হয়।এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করা হয়।
এই অধ্যাদেশের ৩ (ক) ধারায় বলা হয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯ ধারার উপধারা ১ এর ‘যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে’ শব্দগুলোর পরিবর্তে ‘মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে’ শব্দগুলো প্রতিস্থাপিত হবে। অর্থাৎ যদি কোন পুরুষ কোন নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন, তাহলে তিনি মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন৷
এই অধ্যাদেশের ৩ (খ) ধারায় বলা হয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯ ধারার উপধারা (৪) এর দফা (ক) এর ‘যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে’ শব্দগুলোর পরিবর্তে ‘মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে’ শব্দগুলো প্রতিস্থাপিত হবে। অর্থাৎ যদি কোন ব্যাক্তি কোন নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করে মৃত্যু ঘটানোর বা আহত করার চেষ্টা করেন, তাহলে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন।

এই অধ্যাদেশের ৪ ধারায় বলা হয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ১৯ ধারার উপধারা (১) পরিবর্তে নিম্নরূপ উপধারা (১) প্রতিস্থাপিত হবে। ‘ এই আইনের অধীন সকল অপরাধ বিচারার্থে গ্রহনীয় হবে এবং ধারা ১১ এর দফা (গ) এর অপরাধ আপসযোগ্য হবে।’
অর্থাৎ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের অধীন সকল অপরাধের জন্য নিকটস্থ থানায় মামলা দায়ের করা যাবে এবং এই আইনের অপরাধের ক্ষেত্রে পুলিশ ম্যাজিষ্ট্রেটের অনুমতি ছাড়াই তদন্ত করতে পারবে।এবং যদি কোন নারীকে তার স্বামী বা স্বামীর পক্ষের কেও যৌতুকের জন্য তাকে সাধারণ যখম করে তাহলে এই অপরাধ আপসযোগ্য হবে।
এই অধ্যাদেশের ৬ এবং ৭ ধারার মাধ্যমে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নতুন একটা বিষয় যোগ করা হয়েছে।আগে শুধুমাত্র ধর্ষিতার মেডিকেল পরীক্ষা করা হতো এখন থেকে ধর্ষিতা এবং অভিযুক্ত (অপরাধী) ব্যক্তি দুজনেরই মেডিকেল পরীক্ষা করা হবে এবং ডিএনএ টেষ্টে তাদের সম্মতি থাকুক বা না থাকুক তাদের ডিএনএ টেষ্ট করা হবে।
লেখকঃ মোঃ মনিরুজ্জামান, শিক্ষার্থী, আইন বিভাগ মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।
Discussion about this post