নিজস্ব প্রতিবেদক: ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেফতারকৃত সদ্য বহিষ্কৃত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাটকে নিয়ে তার কার্যালয়ের তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকেছে র্যাব সদস্যরা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কার্যালয়ের ভেতরে অভিযান চালাচ্ছে র্যাব।
আজ রবিবার দুপুর দেড়টার পর র্যাব হেডকোয়ার্টার্স থেকে একটি দল গাড়িতে করে কাকরাইলে সম্রাটের অফিসে নিয়ে যায়। তাকে নিয়ে সেখানে অভিযান শুরু হয়েছে। র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল সম্রাটের কার্যলয়ে প্রবেশ করে। এর কয়েক মিনিট পরে হেলমেট পরিয়ে সম্রাটকেও প্রবেশ করানো হয় তার কার্যালয়ে।
অভিযানকে কেন্দ্র করে পুরো কাকরাইল এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। র্যাবের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে রয়েছে পুলিশ ও গোয়ান্দা কর্মকর্তারা। কার্যালয়কে ঘিরে যে কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। এবং কার্যালয়ের আশপাশের সড়কের মোড়গুলোতে ব্যারিকেট দিয়ে জনসাধারণের চলাচল সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।
দুপুর সোয়া একটা। স্থান রাজধানীর কাকরাইল মোড়। একটি ভবনকে ঘিরে আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সদস্য। উপস্থিত আছেন অনেক গণমাধ্যম কর্মী। চারিদিকে লোকে লোকারণ্য। সড়কটিতে দাঁড় করানো আছে র্যাবের বেশ কয়েকটি গাড়ি। গ্রেফতার যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন সম্রাটকে নিয়ে নিয়ে ভবনটিতে তল্লাশি চালাতেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এতো উপস্থিতি।
এদিকে, আজ দুপুরে র্যাবের সদর দফতরে অনানুষ্ঠানিক এক ব্রিফিংয়ে র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার ১/২ দিন পরই সম্রাট ঢাকা ছেড়ে আত্মগোপনে ছিলেন। আর আত্মগোপনে থাকার জন্য তিনি বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেন।
এর আগে ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের পুঞ্জশ্রীপুর গ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহসভাপতি এনামুল হক আরমানকে আটক করা হয়। সেখানে মুনির চৌধুরী নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে সম্রাট লুকিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। র্যাব জানিয়েছে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে কোন মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা জানান নি।




Discussion about this post