নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের আরো ২৭১টি বেসরকারি কলেজকে সরকারিকরণ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রতি জেলা-উপজেলায় একটি করে স্কুল-কলেজ সরকারিকরণের আওতায় এসব প্রতিষ্ঠান সরকারি করা হয়েছে।
আজ রবিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব নাসিম খনম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত আদেশটি জারি হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নতুন ২৭১টি বেসরকারি কলেজ সরকারি হওয়ার পর পর দেশে মোট সরকারি কলেজ ও সমমানের প্রতিষ্ঠান হলো ৫৯৮টি। এতদিন শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ, সরকারি আলিয়া মাদরাসাসহ সরকারি কলেজের সংখ্যা ছিল ৩২৭। এখন সরকারি হওয়া শিক্ষকদের অবস্থান, বদলি ও পদোন্নতি বিষয়গুলো নির্ধারণ করা হবে নতুন বিধিমালা অনুযায়ী।
গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার পর আজ আদেশ জারি করা হলো। এ ২৭১টি কলেজে রয়েছেন অন্তত ১০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী। আজ থেকেই তারা সরকারি বেতন-ভাতাসহ সব সুবিধা পাবেন।
সরকারি হওয়া কলেজগুলোর মধ্যে ঢাকা জেলার ৪টি, মানিকগঞ্জের ৪টি, নারয়ণগঞ্জের ৩টি, মুন্সীগঞ্জের ৩টি, গাজীপুরের ৩টি, নরসিংদীর ৪টি, রাজবাড়ীর ২টি, শরীয়তপুরের ৪টি, ময়মনসিংহের ৮টি, কিশোরগঞ্জে ১০টি, নেত্রকোনার ৫টি, টাঙ্গাইলে ৮টি, জামালপুরে ৩টি, শেরপুরে ৩টি, চট্টগ্রামে ১০টি, কক্সবাজারে ৫টি, রাঙামাটি ৪টি, খাগড়াছড়িতে ৬টি, বান্দরবানে ৩টি, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও ফেনীতে একটি করে, কুমিল্লায় ১০টি, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ায় ৬টি, চাঁদপুরে ৭টি, সিলেটে ৯টি, হবিগঞ্জে ৫টি, মৌলভীবাজারের ৫টি, সুনামগঞ্জে ৮টি, রাজশাহীতে ৭টি, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২টি, নাটোরে ৩টি, পাবনায় ৭টি, সিরাজগঞ্জে ৩টি, নওগাঁ জেলায় ৬টি, বগুড়ায় ৬টি, জয়পুরহাটে একটি, রংপুরে ৭টি, নীলফামারীতে ৪টি, গাইবান্ধায় ৪টি, কুড়িগ্রামে সাতটি, দিনাজপুরে ৯টি, লালমনিরহাটে ৩টি, ঠাকুরগাঁওয়ে একটি, পঞ্চগড়ে ৪টি, খুলনায় ৫টি, যশোরে ৫টি, বাগেরহাটে ৬টি, ঝিনাইদহে একটি, কুষ্টিয়ায় দুটি, চুয়াডাঙ্গায় দুটি, সাতক্ষীরায় দুটি, মাগুরায় ৩টি, নড়াইলে একটি, বরিশালে ৬টি, ভোলায় ৪টি, ঝালকাঠিতে ৩টি, পিরোজপুরে দুটি, পটুয়াখালীতে ৬টি, এবং বরগুনায় তিনটি কলেজ।
Discussion about this post