সরকারের সমালোচনা মানেই রাষ্ট্রদ্রোহিতা বা মানহানি নয় বলে জানিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার জনস্বার্থে করা একটি মামলার প্রেক্ষিতে এ মন্তব্য করেন আদালত।
মামলার শুনানির সময় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষে আইনজীবী ও সমাজকর্মী প্রশান্ত ভূষণ আদালতকে বলেন, ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতা একটি গুরুতর অপরাধ। সরকারের সমালোচনা বন্ধ করার জন্য রাষ্ট্রদ্রোহিতা সংক্রান্ত আইনের যথেচ্ছ অপব্যবহার করা হচ্ছে।’
আইনজীবীর এ বক্তব্যের পর বিচারপতি দীপক মিশ্র ও বিচারপতি ইউ ইউ ললিতের বেঞ্চ পরিষ্কার জানিয়ে দেন, ‘কেউ সরকারের সমালোচনা করে বিবৃতি দিলেই রাষ্ট্রদ্রোহিতা অথবা মানহানি সংক্রান্ত আইন মতে তা অপরাধ বলে গণ্য হতে পারে না। রাষ্ট্রদ্রোহিতা সংক্রান্ত ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪(এ) ধারা প্রয়োগের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট নির্দিষ্ট গাইডলাইন ঠিক করে দিয়েছে। সেই গাইডলাইন মেনেই এর প্রয়োগ করতে হবে।’
এ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট কেদার নাথ সিং বনাম বিহার সরকারের ১৯৬২ সালের একটি মামলার রায়ের কথা উল্লেখ করেন।
বিচারকদের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রশান্ত ভূষণ দাবি করেন, শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশের কপি সব রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিজি-র কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য। বিচারপতিরা তার এই আবেদন খারিজ করে দিয়ে জানান, নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ থাকলে তা নিয়ে আলাদা মামলা করা যেতে পারে।
প্রশান্ত ভূষণ তখন আদালতকে বলেন, ‘কেদার নাথ সিং মামলার রায় কনস্টেবলরা বোঝেন না, তারা অভিযোগ দায়ের করার সময় শুধু আইপিসি বোঝেন’। এর জবাবে আদালত বলেন, ‘কনস্টেবলদের এই রায় বোঝার প্রয়োজন নেই। ম্যাজিস্ট্রেটরা রাষ্ট্রদ্রোহিতা আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে শীর্ষ আদালতের গাইডলাইন মানলেই হবে।’ সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।
Discussion about this post