নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে বক্তব্য দিতে দুই সাংবাদিককে তলব করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে ওই চিঠিতে ‘আপত্তিকর’ ভাষা থাকায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যপক সমালোচনার মুখে পড়ে দুদক। এরপরই ওই চিঠি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। একইসাথে আপত্তিকর ভাষায় চিঠি ইস্যুকারী সেই কর্মকর্তাকে দায়িত্বে অবহেলার জন্য শোকজ (কারণ দর্শানো) নোটিশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে কতদিনের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে হবে তা তিনি নির্দিষ্ট করে জানাতে পারেননি।
বুধবার সকালেও দুদক কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন সাংবাদিকরা। এরপরই ওই চিঠি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।
শেখ মোহাম্মদ ফানাফিল্যা বলেন, আগের চিঠিটি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। সাংবাদিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে চিঠিটির আপত্তিকর সব শব্দ প্রত্যাহার করে নিয়েছে দুদক। এ ঘটনার জন্য দুঃখও প্রকাশ করছি আমরা। দুই সাংবাদিককে পুনরায় চিঠি প্রদান করা হবে।
মঙ্গলবার বাংলা ট্রিবিউনের বিশেষ প্রতিনিধি দীপু সারোয়ার ও এটিএন নিউজের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ইমরান হোসেন সুমনকে প্রকাশিত একটি সংবাদের বিষয়ে বক্তব্য দিতে তলব করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের দুটি চিঠিতেই অভিযোগের সংক্ষিপ্ত বিবরণী হিসেবে উল্লেখ করা হয়, দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে ডিআইজি মিজানুর রহমানের কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে আপনার সাক্ষ্যগ্রহণ ও শ্রবণ একান্ত প্রয়োজন। উল্লিখিত অভিযোগের বিষয়ে আগামী ২৬/০৬/২০১৯ খ্রি. তারিখ ১০.৩০ ঘটিকায় নিম্নস্বাক্ষরকারীর কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য প্রদানের জন্য আপনাকে অনুরোধ করা হলো।’ দুই সাংবাদিককেই হাজির না হলে চিঠিতে আইনানুগ কার্যধারা গৃহীত হবে বলে হুমকি দেয়া হয়।
এদিকে, সাংবাদিকদের বিক্ষোভ সমাবেশের পর দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য সাংবাদিকদের জানান, আমাদের পক্ষ থেকে দু’জন সাংবাদিককে ডাকা হয়েছিল। তাদের কাছে পাঠানো চিঠির ভাষা দুরকম হয়েছে। এ বিষয়টি কমিশনের নজরে এসেছে। কমিশন অবগত হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে দায়িত্বে অবহেলার জন্য শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
এর আগে সকালে ধানমন্ডিতে এক অনুষ্ঠানে দুদক চেয়ার ইকবাল মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, যদি তদন্ত কর্মকর্তারা নোটিশে ব্যতয় ঘটায় তাহলে আপনারা আমাদের কাছে ক্লেম করতে পারেন। যেটা আমি জানি একটা ফরম্যাট থাকে সেই ফরম্যাটে যদি চিঠি না দিয়ে থাকে তাহলে আমরা তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
তিনি আরও বলেন, কোনও মামলায় সহযোগিতা করা আপনাদের দায়িত্ব। কমিশন কখনও নোটিশ ইস্যু করে না। তদন্ত কর্মকর্তারা তা করে থাকেন। তারা যদি কোনও ভুল করে থাকে তাহলে হয় কোর্টে যাবেন, নয়তো কমিশনকে জানাবেন।
Discussion about this post