
বিডি ল নিউজঃ এমন সময় ফুটপাত ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাত্তার আজাদ। তাকেও ফুটপাত ছেড়ে যান চলাচলের রাস্তা দিয়ে হাঁটতে বলেন পুলিশের উপ সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) আইয়ুব।
সাত্তার আজাদ এসময় উল্টো তাকে বলেন, ফুটপাত দিয়ে হাঁটলে আপনার সমস্যা হওয়ার কথা নয়, এটা আমার গণতান্ত্রিক অধিকার। এরপরও তার গতিরোধ করে অসদাচরণ করেন ওই পুলিশ সদস্য।
ফুটপাতে বেঞ্চ পেতে বসে কর্তব্য পালন করছিলেন তিন পুলিশ কর্মকর্তা। এতে পথচারীদের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হলেও দায়িত্ব পালনের নামে খোশগল্প করছিলেন তারা। ফুটপাত দিয়ে যারাই হেঁটে যাচ্ছিলেন তাদের নেমে পাশের মূল রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে বলা হচ্ছিলো।
তিনি প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদককে যান চলাচলের রাস্তা দিয়ে হাঁটার উপদেশ দিয়ে বলেন, রাস্তা দিয়ে হাঁটলে যদি মরতে হয় মরবেন।
এরপরও ফুটপাত ধরে হাঁটতে চাইলে এএসআই আইয়ুব ওই সাংবাদিককে অপদস্ত করেন।
রোববার সকাল সোয়া ১০টার দিকে নগরীর নাইওরপুল পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ের সীমানা প্রাচীর সংলগ্ন ফুটপাতে এ ঘটনা ঘটে।
পরবর্তীতে ঘটনাটি প্রেসক্লাব নেতাদের মাধ্যমে অবগত হন পুলিশ কমিশনার কামরুল আহসান। সোমবার (১৮ মে) অসদাচরণের দায়ে মহানগর পুলিশ কমিশনারের (এমএমপি) কার্যালয় থেকে এএসআই আইয়ুবকে শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়।
সাংবাদিকের সঙ্গে এমন আচরণের বিষয়টি শুনে তাৎক্ষণিকভাবে এএসআই আইয়ুবকে দায়িত্বস্থল থেকে জেলা পুলিশ লাইনে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন মহানগর পুলিশ কমিশনার কামরুল আহসান।
একইসঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনার জন্য সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আজিজ আহমদ সেলিমের কাছে ফোন করে পুলিশ কমিশনারের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করেন অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) মো. রহমত উল্লাহ।
এ প্রসঙ্গে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) মো. রহমত উল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, সাত্তার আজাদের সঙ্গে পুলিশ সদস্য আইয়ুবের অসদাচরণের কারণে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে প্রত্যাহার ও আগামী সাতদিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Discussion about this post