ঢাকা: নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) শাখায় সাংবাদিক লাঞ্ছনার বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টের আলোকে তদন্ত করে তথ্য মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে।

তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এ সংক্রান্ত চিঠি বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) ইসিতে এসে পৌঁছেছে। গত ২৪ আগস্ট স্বাক্ষরিত হয়ে চিঠিটি পাঠানো হয়।
ইসি সচিব সিরাজুল ইসলামকে লেখা এ বার্তায় বলা হয়েছে, ২০, ২১ ও ২৩ আগস্ট সংবাদমাধ্যমে এনআইডি শাখায় সাংবাদিক লাঞ্ছনার ঘটনা প্রসঙ্গে প্রকাশিত রিপোর্টের কাটিং সংগ্রহ করে তা পর্যালোচনা প্রতিবেদন আকারে তৈরি করে তথ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রেস অধিশাখা-১’র উপ-সচিব মোহাম্মদ ইসমাইল হুসেন এ চিঠিটি পাঠিয়েছেন।
গত ১৯ আগস্ট (বুধবার) বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের স্টাফ রিপোর্টার জি এম মুস্তাফিজুল আলম ও সিনিয়র ক্যামেরাপার্সন রিপু আহমেদ আগারগাঁওয়ের ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনে ইসির এনআইডি শাখায় সংবাদ সংগ্রহের জন্য যান। এনআইডি শাখার নিচ তলায় দুর্ভোগের ভিডিও নেওয়ার সময় ক্যামেরাপার্সন রিপু আহমদকে কর্মচারীরা মারধর করে সাত তলায় নিয়ে যান। এতে মুস্তাফিজুল প্রতিবাদ করায় আইডিইএ প্রকল্পের উপ-পরিচালক আব্দুল বারীর নির্দেশে উপস্থিত কর্মকর্তারা তাকেও মারধর করেন। একইসঙ্গে ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে তা ভেঙে ফেলা হয়।
এরপর মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) সাংবাদিক নির্যাতনের ‘হুকুমদাতা’ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তা আব্দুল বারীকে প্রত্যাহার করা হয়। তাকে প্রত্যাহার করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এপিডি অনুবিভাগে ন্যস্ত করা হয়েছে।




Discussion about this post