নিজস্ব প্রতিবেদক: নুসরাত জাহান রাফির জবানবন্দির ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়ানোর মামলায় গ্রেফতার ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে বাংলাদেশ সাইবার অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। বর্তমানে তাকে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়েছে।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ফেনী পুলিশ ও শাহবাগ থানা পুলিশের কঠোর নিরাপত্তায় তাকে শাহবাগ থানা থেকে গাড়িতে করে সাইবার ট্রাইব্যুনালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরআগে দুপুর পৌনে ১২টায় তাকে বহনকারী গাড়িটি শাহবাগ থানা থেকে রওনা হয়।
হাজতখানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোতালেব হোসেন বলেন, ২টার দিকে তাকে সাইবার আদালতে তোলা হবে।
রোববার শাহবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় মোয়াজ্জেমকে। এরপর আজ সকালে তাকে ফেনীর সোনাগাজী পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
গত মার্চ মাসে নুসরাত যখন তার মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ দৌলার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তুলেছিলেন তখন সোনাগাজী থানার ওসি ছিলেন মোয়াজ্জেম। অভিযোগ আছে, নুসরাতকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার কয়েকদিন আগে ২৭ মার্চ তাকে আপত্তিকর প্রশ্ন এবং তা ভিডিওতে ধারণ করেন তিনি। পরবর্তী সময়ে তিনি তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। এ অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। মামলায় আদালতের নির্দেশে তার বিরুদ্ধে ২৭ মে প্রতিবেদন দাখিল করে তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সেদিনই তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে ১০ এপ্রিল নুসরাতের মৃত্যুর রাতেই সোনাগাজী থানা থেকে ওসি মোয়াজ্জেমকে প্রত্যাহার করা হয়। ৮ মে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে ১২ মে রংপুর রেঞ্জে ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়। আর গ্রেফতারি পরোয়ানাটি ৩ জুন ফেনী ও পরবর্তী সময়ে রংপুর রেঞ্জ অফিসে পৌঁছায়। আর এই সুযোগে ওসি মোয়াজ্জেম চলে যান আত্মগোপনে। গতকাল রবিবার হাইকোর্টে জামিন করাতে এসে কদম ফোয়ারার সামনে থেকে শাহবাগ থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন মোয়াজ্জেম।
Discussion about this post