আবু হাসনাত তুহিন, পবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ
প্রভাবশালী মহলের রোষানলের শিকার হয়ে দুদকের আলোচিত কর্মকর্তা শরিফ উদ্দীনের (উপ-সহকারী পরিচালক) চাকরি হারানোর ঘটনায় পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(পবিপ্রবি)সাধারণ শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় তুলেছে। তারা এই অসাংবিধানিক ঘটনার তীব্র নিন্দা করে তাঁকে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে।
সদ্য চাকরিচ্যুত শরিফ উদ্দীন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিভিএম ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের(দুদক) উপ-সহকারী পরিচালক হিসেবে চট্রগ্রামে দায়িত্ব পালন কালে তিনি সাড়ে ৩ লাখ কোটি টাকার ভূমি অধিগ্রহণে দুর্নীতি, রোহিঙ্গা নাগরিকদের ২০টি এনআইডি ও পাসপোর্ট জালিয়াতি, কর্ণফুলী গ্যাসে অনিয়মসহ বেশ কিছু দুর্নীতিবিরোধী অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি মামলা করেন। এতে তিনি আমলা ও প্রভাবশালীদের চক্ষুশূলে পরিণত হন। এর ফলে তাঁকে পটুয়াখালীতে বদলিসহ সর্বশেষ চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। চাকরি হারানোর হুমকির ১৬ দিনের মাথায় তাঁকে এ অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

এমন সৎ ও কর্মপরায়ণ ব্যক্তিকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়ার ঘটনাকে পবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা অসাংবিধানিক ও অনিয়ম হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিবাদ করেছেন এবং শরিফ উদ্দীনকে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন পবিপ্রবির সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চেয়ে পবিপ্রবি শিক্ষার্থী রেজোয়ানা হিমেল বলেন, সততার জয় যাতে নিশ্চিত হয় তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে পবিপ্রবির সাবেক শিক্ষার্থী শরীফ উদ্দীন ভাইকে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয় তার জোর দাবি জানাই এবং সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তি প্রদান করা হোক।
আরেক শিক্ষার্থী মীর মোহাম্মদ নূরনবী বলেন, শুধুমাত্র অভিযোগের ভিত্তিতে হঠাৎ করে চাকুরীচ্যুত করা অপ্রত্যাশিত ও বেদনাদায়ক ঘটনা। পদ্ধতিগত সমস্যার সমাধান ও আত্মপক্ষ সমর্থন করার সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল। আর একজন পবিপ্রবিয়ান হিসেবে আমাদের দাবি, তাকে চাকরিতে বহাল রাখা ও যথাযথ সম্মান দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
Discussion about this post